ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সহ আটক ০৯, ৭টি বিদেশী অস্ত্র, গুলি, বিদেশী ও দেশী টাকা জব্দ
ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনায় ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী বরকত ইবনে সালাম ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল সহ ক্ষমতাসীন দলের ০৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার রাত ১১টার দিকে তাদের আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি শর্টগান, ৫টি বিদেশী পিস্তলসহ ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৮১ রাউন্ড গুলি, বিদেশী মদ, ৩ হাজার ইউএস ডলার ও ৯৮ হাজার ভারতীয় মুদ্রা, বাংলাদেশী ২৯ লক্ষ টাকা, ৬০ হাজার কেজি চাউল ও পাঁচটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জানান, ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুবল সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপরাধের অভিযোগে আটক করা হয়েছে। এখন তাদের কোর্টে পাঠানো হবে রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে। তাদের সাথে গ্রেফতারকৃত অন্যরা হলেন, সহযোগী রেজাউল করিম বিপুল, আওয়ামী লীগ নেত্রী ইয়াসমিন সুলতানা বন্যা মন্ডল, ছাত্রলীগ নেতা এনামুল ইসলাম জনি, অমিয় সরকার, বর্ধিত ১৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চক্রবর্তী, সাবেক ৬ নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুন ও জাহিদ খান।
এদিকে, সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হাসান রুবেল কে গ্রেফতারের খবরে আনন্দ মিছিল বের করে আওয়ামী লীগের একাংশ। ফরিদপুরে প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার বেলা ১১টার দিকে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন ফরিদপুর কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ বোস। এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মনিরুল হাসান মিঠু, কোতয়ালী থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি খলিফা কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলা হয়। এ ঘটনায় তার পরিবার থেকে গত ১৮ মে একটি মামলা করা হয় থানায়। সেই মামলায় গোয়েন্দ তদন্তে তাদের নাম আসে। এর পরই তাদেরকে আটক করা হলো।