এম,মুজিবুর রহমান,নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জর নবীগঞ্জ উপজেলায় ২য় ডোজ টিকা গ্রহণ না করেই সনদ গ্রহণ করতে পারছেন ৮৫৮জন। মোবাইলে খুদেবার্তা পাওয়ার পর এদের অনেকেই ডাউনলোড করে নিয়েছেন সনদপত্র। এরফলে টিকা গ্রহণ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, সার্ভার জটিলতার কারণে ও টিকা গ্রহণকারীর টিকা কার্ডের কিউআর কোর্ড স্ক্যান না করায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ডোজ না নিয়েও খুদেবার্তা পাওয়া লোকদের সনাক্তের প্রক্রিয়া চলছে। তাদের দ্বিতীয় ডোজের টিকা পেতে কোনো প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে না
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানাযায়, গত (৭ আগস্ট) গণটিকা কর্মসূচিতে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টিকাকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ১ম ডোজ টিকা গ্রহণ করেন ৭৭৯০জন। (৭ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেন ৬৯৩২ জন। ওইদিন দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারী কিছু মানুষের কার্ডের কিউআর কোড স্ক্যান করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে কাহারা টিকা নিয়েছেন তা শনাক্ত করা যায়নি। এর ফলে সকলকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে ম্যাসেজ পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ না করা ৮৫৮ জনের কাছেও একই খুদে বার্তা পৌঁছেছে । তাদের অনেকেই দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ না করেই সনদ ডাউনলোড করে নিয়েছেন । এমন ঘটনায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
তোফায়েল আহমদ নামে এক ব্যক্তি বলেন, গত (৭ আগস্ট) প্রথম ডোজ টিকা আমি গ্রহণ করি কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পূর্বেই টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে এমন ম্যাসেজ আসে আমার ফোনে, এতে আমি হতভম্ব হয়ে যাই। পরে স্থানীয় একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে আমি সনদও প্রিন্ট আউট করেছি। এমন ভুয়া বার্তায় সংশ্লিষ্টদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান তিনি।
নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আশরাফ আলী বলেন, আমি প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছিলাম, দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের পূর্বেই আমার মোবাইলে ম্যাসেজ আসে আমার দ্বিতীয় ডোজ টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ বলেন, এটা কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন ঘটনা হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ না করা অধিকাংশ ব্যক্তির মোবাইলেও ম্যাসেজ গেছে। এর মধ্যে অনেকেই আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন আমরা তাদেরকে ২য় ডোজ ভ্যাকসিন প্রদান করেছি। সনদ গ্রহণ করলেও টিকা পেতে তাদের কোনো সমস্যা হবেনা বলেও জানান তিনি।