ঘূর্নিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, পায়রা বন্দরে বহাল রয়েছে ২ নম্বর হুশিয়ারি সংকেত ॥
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন
এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্নিঝড় ‘জাওয়াদ’ আরও উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর
হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এর প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর
কিছুটা উত্তাল রয়েছে, সকাল থেকেই উপকূলীয় এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
হচ্ছে। আকাশ ঘন মেঘাচ্ছন রয়েছে। শীত এবং বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছে নিম্ন
আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। ঘর্নিঝড়টি শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর
থেকে ১০৩০ কিলোমিটার, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৯৯৫ কিলোমিটার, মংলা
সমুদ্র বন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সুমদ্র বন্দর থেকে ৮৯৫
কিলোমিটার দক্ষিন-দক্ষিন পশ্চিমে অবস্থান করছিলো। এটি আরও
উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্নিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ
গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত
বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২
নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারী সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। উত্তর
বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছধরা ট্রলার সমূহকে উপকূলের
কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
কলাপাড়া পৌর শহরের অটো চালক বশিরুল হাওলাদার এ প্রতিনিধিকে জানায়,
প্রতিদিন সকালে উত্তর বঙ্গ থেকে ট্রাকে কাচামাল নিয়ে আসা হয়। এসব কাচামাল
আমরা ট্রাক থেকে নামিয়ে প্রতিটি আড়তে পৌছে দেই। কিন্তু আজ সকাল থেকে
তীব্র শীতের সাথে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে সকাল থেকেই আমাদের কাজ কর্ম বন্ধ
রয়েছে। অপর ব্যবসায়ী ইয়াসিন মিয়া জানান, উত্তরবঙ্গ থেকে এক ট্রাক পেয়াজ
এনেছি। সকালে এগুলো আনলোড করে দোকানে দোকানে পৌছে দেয়ার কথা। কিন্তু সকাল
থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হওয়ায় পেয়াজ নামানো বন্ধ।
পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ রানা
গনমাধ্যমকে বলেন, রবিবার থেকে বৃষ্টির পরিমান কিছুটা বাড়তে পারে, সেই
সঙ্গে শীতের তীব্রতাও বাড়তে বাড়ে। তবে ঘূর্নিঝড় ‘জাওয়াদ’ ভারতের উপকূল
দিয়ে অতিক্রম করার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।