নবীগঞ্জে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী,মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে মৌলবাদীদের হামলা ও ভাংচুর

প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১

স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার
কালিয়ার ভাঙ্গা ইউনিয়নের কালিয়ার ভাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে পল্লীবাংলা লোক সংগীত একাডেমী কর্তৃক আয়োজিত মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে গতকাল ১৬ ডিসেম্বর রাত ১১টায় অনুষ্টিতব্য আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হটাৎ
এলাকার একদল উশৃংখল
হেফাজতকর্মী,ধর্মান্ধ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী, উগ্রবাদীরা সহিংস তাণ্ডব চালিয়েছে,এতে মহান বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানটি ভন্ডুল করে দেয়া হয়েছে ৷এই মৌলবাদী চক্র- হেফাজতের কিছু উশৃংখল বাহিনী কর্তৃক উক্ত অনুষ্ঠানে হামলা ভাংচুর চালানো হয়েছে৷ এমনকি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহান বিজয় দিবস নিয়ে হামলাকারীরা নানা ধরনের কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য ও কটাক্ষ করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷
উক্ত ঘটনায়,রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক অঙ্গনে তীব্র ক্ষোভের সৃস্টি হয়েছে,এনিয়ে এলাকায় সচেতন মহলের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে৷
অনুষ্ঠানের আয়োজক ইমামবাড়ী পল্লীবাংলা লোক সংগীত একাডেমীর সভাপতি কবি গোপাল রায় বলেন,
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উদযাপন বাঙালীর জাতীয় জীবনে এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। সমগ্র বিশ্বে যখন বাংলাদেশ আজ ‘উন্নয়নের বিস্ময়’। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনা দিনে রাতে পরিশ্রম করে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র উপহার দিতে ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেই মুহুর্তে গতকাল ১৬ ই ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সুবর্ণ জয়ন্তী ও বিজয় দিবসের আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কিছু পাকিস্তানপন্থী
হেফাজত নেতা মহি উদ্দীন ও সুমন খানের নেতৃত্বে
উগ্রবাদীরা আমাদের শান্তিপূর্ণ একটি অনুষ্ঠানে সন্ত্রাসী জঙ্গী হামলা চালায়, এতে আমাদের অনুস্টানের চেয়ার, স্টেইজ ভাংচুর করে হামলাকারীরা আতংক সৃস্টি করেন,এতে প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে৷ কবি গোপাল রায় বলেন,
তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে আমাদের অনুষ্ঠানটি ভন্ডুল করে দেয়া হয়৷
একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে আমরা বসবাস করছি,অতএব, এমন জঘন্যতম আচরণ ও ভাংচুর এবং বঙ্গবন্ধু ও বিজয় দিবস নিয়ে তাদের কুরুচিপুর্ণ
কটাক্ষ ,তা কখনোই মেনে নেবার মতো নয়,কটাক্ষকারীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি৷ হেফাজত সহ সকল ধর্মান্ধ এবং উগ্র সাম্প্রদায়িক অপশক্তি গুলো একত্রিত হয়ে এই সহিংস তাণ্ডব চালিয়েছেন বলেও পল্লীবাংলা লোক সংগীত একাডেমীর সভাপতি কবি গোপাল রায় এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন৷ এ বিষয়ে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট বিচার প্রার্থী হয়েছেন৷ এছাড়াও প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি৷ স্বাধীনতার স্বপক্ষেের শক্তি সচেতন মহলের অনেকেই বলেন,হামলাকারীরা দেশদ্রোহী ও দেশের স্বাধীনতা বিরোধী চক্র ,তাদের কারনে ইমামবাড়ী বাজার তথা অত্র এলাকায় কখনোই, কোন ধরনের রাষ্ট্রীয় দিবস গুলো পালন করা সম্বব হয়নি , কারণ তারা এতই শক্তিশালী ও
উগ্রবাদী, তারা আইন কানুনের ধার দ্বারেন না,তারা দেশ ও সমাজ বিরোধী৷ তাই অনতি বিলম্বে এদেরকে আইনের আওতায় আনা হোক৷
উক্ত অনুষ্ঠানটি প্রধান অতিথি ছিলেন, হবিগঞ্জের বিশিষ্ট নাট্যকার, কবি ও সিনিয়র সাংবাদিক হারুন সিদ্দীকি৷ বিশেষ অতিথি ছিলেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াছিন খান,সরকারী মহিলা কলেজ হবিগঞ্জ এর সহকারী অধ্যাপক তানসেন আমীন, নবীগঞ্জ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ও গীতিকার এম মুজিবুর রহমান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ৷ অনুষ্ঠানের আলোচনা সভাশেষে দেশাত্মবোধক সংগীত শুরু হওয়ার সাথে সাথেই এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে৷




error: Content is protected !!