মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
রাজনগর উপজেলায় ইউরোপে পাঠাতে না পেরে টাকা আত্বস্বাৎ করার উদ্যেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে দুর্ঘটনা হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার । শনিবার ১৮ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে শাহরিয়া আহমদ রাজ (১৯) এর চাচা মোঃআব্দুল হান্নান লিখিত ভাবে সংবাদ সম্মেলনে বলেন,জদুর অলহা গ্রামের শাহরিয়া আহমদ রাজ (১৯)কে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের সালং গ্রামের শরিয়ত খা লেচু ও তার ছেলে সাব্বির খান গং গত ১২ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১১টায় রাজনগর উপজেলার কদমহাটা হাইস্কুলের সামনে ভাতিজা রাজ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেছে জানায় সংগীয় সাব্বির খান। ঘটনার দিন সকালে সাব্বির খান আমার ভাতিজা শাহরিয়া আহমদ রাজ এর ব্যবহৃত মোবাইলে বার বার ফোন দিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মৌলভীবাজার ওয়েষ্টার্ণ প্লাজা আবাসিক হোটেলে এর নিচে অপেক্ষা করে।সাব্বির খান তার বাড়ি রাজনগরের উদ্যেশ্যে রাজকে নিয়ে রওনা দেয়। সে ড্রাইভ না করে আমার ভাতিজা রাজকে ড্রাইভে দেয়। কদমহাটা হাই স্কুলের সামনে গিয়ে সাব্বির গংরা মিলে আমার ভাতিজাকে গলা কেটে হত্যা করে একটা পিক আপ ভ্যানের ধাক্কায় সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। যা ছিল তাদের পূর্ব পরিকল্পিত। পিকআপ ভ্যান মোটরসাইকেলকে সজোরে ধাক্কা দেয় কিন্তু মোটরসাইকেলে থাকা সাব্বিরের কোন ক্ষতি হয়নি।মোটরসাইকেল ও ছিল সম্পুর্ন অক্ষত। মোটরসাইকেলটি বর্তমানে রাজনগর থানার হেফাজতে রয়েছে। মৃত্যু পর তড়িঘড়ি করে পরিবারের সম্মত্তি ছাড়াই ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। এই প্রশ্ন প্রশাসন ও সচেতন মহলের কাছে নিহত রাজ এর চাচা আব্দুল হান্নানের। লাশ তড়িগড়ি করে দাফনের জন্য চাপাচাপি করে শরিয়ত খান লেচু,শেফালী বেগম, সাব্বির খান গংরা। আব্দুল হান্নানের দাবি শরিয়ত খা লেচুর সাথে পর্তুগাল পাঠানোর কথাবার্তা ফাইনাল হয়ে ভিসার দেওয়ার ব্যাপারে ৯ লাখ টাকা সিদ্ধান্ত হয়। ৮ লক্ষ টাকা শরিয়ত খা লেচু ও তার ছেলে সাব্বির খানকে প্রদান করা হয়। বাকি ১ লাখ টাকা ভিসা পাওয়ার পর দেওয়ার কথা ছিল।গত ২৫ অক্টোবর ভিসা দেওয়ার কথা ছিল।এর আগেই গত ১২ অক্টোবর ভাতিজা শাহরিয়া আহমদ রাজ এর জীবন প্রদীপ নিবে যায়। ৮ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করাই ছিল তাদের মূল লক্ষ। পর্তুগালের ভিসা দিবে এটা ছিল তাদের প্রতারণা, টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কুট কৌশল। সাংবাদিকদের
বস্তুনিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে সঠিক তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবি জানান।