হাবিব হাসান মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,
চতুর্থ ধাপে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে নিবাচন।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১৪৪টি ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের স্বতস্ফুর্ত উপস্থিতির কারনে সরব হয়ে উঠেছিল। উৎসব মুখর পরিবেশে নারী ভোটারের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়। বেলা ১০ টার দিকে উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের ভাটীমভোগ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় ২শ নারী পুরুষ ভোটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। এসময় নতুন ভোট দিতে আসা এক কলেজ ছাত্র জানান,‘ নিজের প্রথম ভোটটি নিজে দিতে পারব কিনা এ নিয়ে সংশয় ছিল। কিন্তু কঠোর নিরাপত্তার কারনে নিজে ভোট দিতে পেরেছি। এটা অন্য রকম অনুভুতি।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছে আওয়ামী লীগের ৭ জন ও বিদ্রোহী ৫ জন, স্বতন্ত্র ২জন। উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়নে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তারা হলেন চিত্রকোট ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামছুল হুদা বাবুল, শেখরনগর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেবব্রত সরকার টুটুল, রাজানগর ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের প্রার্থী মজিবুর রহমান, কেয়াইন ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মো.আশ্রাফ আলী শেখ, বাসাইল ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের সাইফুল ইসলাম যুবরাজ, লতব্দী ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী প্রার্থী হাফেজ মো.ফজলু, রশুনিয়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন বিদ্রোহী অ্যাডভোকেট আবু সাইদ, বালুচর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো.আওলাদ হোসেন, বয়রাগাদী ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান সোহাগ, মালখানগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের সানজিদা আক্তার, মধ্যপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগের মো.করিম হাজী, ইছাপুরা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী মো.সুমন মিয়া, জৈনসার ইউনিয়নে বিদ্রোহী রফিকুল ইসলাম দুদু এবং কোলা ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রাথী সাইফুল ইসলাম মিন্টু। উপজেলায় ১৪ টি ইউনিয়নে মধ্যে ৬৬ চেয়ারম্যান প্রার্থী, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১২৫ প্রার্থী এবং সাধারণ সদস্য পদে ৪৫৪ প্রার্থী নির্বাচন করেন। উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে মোট ১৪৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে শান্তিপূর্ন ভাবে ভোট গ্রহন হয়েছে। একটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন একটি ঘটনা ব্যতিত কোথাও কোনো আর অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ভোটারদের উপস্থিতি ছিল ব্যাপক। এই নির্বাচনে জনগনের সন্তুষ্টি নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।