নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ভবনের ছাদে স্থাপন করা হয়েছে ছাদ কৃষি লার্নিং সেন্টার। এক সময়ের খালি ছাদ এখন দৃষ্টিনন্দন ছাদ কৃষির আওতায় এনেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু। কৃষি বিষয়ক নানা প্রযুক্তির ছোঁয়াও রয়েছে সেখানে। একটু ঘুরেফিরে দেখলেই চোখে পড়ে দেশী-বিদেশী হরেকরকম ফল, ফুল, ঔষধি ও সবজিসহ নানা ধরণের বৃক্ষমেলা। পুরোছাদকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন সবজি কর্ণার, ফুলের কর্ণার ও ফলের কর্ণার। সবজি কর্ণারে লাগানো হয়েছে করলা, চিচিঙ্গা, টমেটো, বেগুন, মরিচ, ফুলকপি, বঁাধাকপি, লাল বঁাধাকপি, লাউ ও শসাসহ নানারকম সবজি। এই সবজিগুলোর মাচা তৈরি করা হয়েছে একটু ভিন্নভাবে। স্বাভাবিক মাচার পরিবর্তে এখানে ‘এ’ প্যাটার্নের মাচা তৈরি করা হয়। যার ফলে অল্প জায়গাতেই অধিক সবজি চাষ করা সম্ভব হয়েছে। ফুলের কর্ণারে শোভা ছড়াচ্ছে পয়েনসেটিয়া, রজনীগন্ধা, পিটুনিয়া, গঁাধা, বেলী, নয়নতারা, কমলারঙ্গন, লালরঙ্গন, জবা, স্থলপদ্ম, বাগানবিলাস, পাতাবাহার ও ক্যাকটাসসহ শোভাবর্ধনকারী হরেকরকম গাছ। ফলের কর্ণারে রয়েছে বারমাসী আম, কাঠাল, অগ্নিশ্বর কলা, থাই পেয়ারা, দেশী মাল্টা, আমড়া, কামরাঙ্গা, লেবু, কদবেল ও সরিফাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ফলগাছ। বিদেশী ফলগাছের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতো। আরো রয়েছে আপেল, ড্রাগন, নাশপাতি, চাইনিজ কমলা ও রকমিলন ইত্যাদি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু জানান, কৃষির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুসঙ্গ হলো ছাদ কৃষি। এখন অনেকেরই বাড়ি বিল্ডিং করা হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি ইঞ্চি জায়গা আবাদের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষেই সকলকে উৎসায়িত করার জন্য এই ছাদ কৃষি লার্নিং সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিদিনই এখানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ দেখতে আসছে। তারাও এই সেন্টার ঘুরে ঘুরে দেখছেন এবং মুগ্ধ হয়ে নিজেরাও ছাদ কৃষি করার প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। এছাড়াও কৃষক-কৃষাণী যারা প্রশিক্ষণ এবং পরামর্শ নিতে আসছে তাদেরকেও ছাদ কৃষি লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করানোর মাধ্যমে হাতে-কলমে গাছের যত্ন ও ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে শেখানো হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন কৃষি প্রযুক্তির বিস্তার ঘটছে, অন্যদিকে মানুষের মাঝে ছাদ কৃষি তথা বৃক্ষরোপণে উৎসাহ বাড়ছে। ছাদ কৃষি ছাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে একটি বড় সুযোগ তৈরী করে।