চকরিয়ার ব্যবসায়ী লতিফ হত্যার আসামি চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার।

প্রকাশিত: ৪:৪৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২২

উমার রাযী, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি-

কক্সবাজারের চকরিয়ায় নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তদের হাতে খুনের শিকার ব্যবসায়ী লতিফ উল্লাহ হত্যা মামলার সন্দেহভাজন মিজানুর রহমানকে (৪২) গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তার কাছ থেকে ৫০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

শনিবার (১৫ জানুয়ারী) পটিয়া চট্টগ্রাম জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো.সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত মিজানুর রহমান ঝালকাটি জেলার সদর উপজেলার বালকদিয়া বিনয়কাটি ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মৃত জলিল আকনের ছেলে। তাকে আদালতের মাধ্যমে চকরিয়া থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো.জুয়েল ইসলাম।

মো.জুয়েল ইসলাম বলেন, গত ৩ জানুয়ারি রাত সাড়ে দশটার দিকে চকরিয়া পৌরশহরের ২নং ওয়ার্ডের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় সড়কে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে দুর্বৃত্তরা বিকাশের এজেন্ট মোহাম্মদ লতিফ উল্লাহকে কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টাকাও লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন মিজান মাল কেনার অজুহাতে মোবাইলে বাসা থেকে ডেকে আনেন লতিফকে। এসময় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা হানা দিয়ে দোকানের ক্যাশ থেকে টাকা লুটের চেষ্ঠা করে। এসময় বাঁধা দিতে গেলে দুর্বৃত্তরা ব্যবসায়ী লতিফ উল্লাহকে কুপিয়ে হত্যা করে।

ঘটনার পর থেকে মিজান পলাতক ছিলো। এরইমধ্যে আমরা খবর পেয়েছি শনিবার চট্টগ্রামের পটিয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের হাতে মাদকসহ গ্রেফতার হন সেই মোবাইলের ফোনের ব্যক্তি মিজান। তাকে আমরা ব্যবসায়ী লতিফ উল্লাহ হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন আসামি দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে আজ (রবিবার) গ্রেফতারের আবেদন জানাবো। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাকে চকরিয়া থানায় এসে মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। প্রয়োজনে আমরা আদালতের কাছে রিমান্ডের আবেদন জানাবো বলেও জানান তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাইস্কুল সড়কের পাশে লতিফ উল্লাহর কোমল পানীয়সহ বিভিন্ন পণ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বিকাশ এজেন্টের দোকান। গত ৩ জানুয়ারি রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার আগে একদল দুর্বৃত্ত তার দোকানে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন লতিফকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখানে মিজানও অংশ নেয় বলে জানতে পারে পুলিশ।




error: Content is protected !!