নবীগঞ্জে ধর্ষণ মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকির অভিযোগ নিরাপত্তাহীনতায় পরিবার৷
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়েস্থ গ্রামে রাতের আঁধারে ঘরে ঢুকে কিশোরীকে ধর্ষণ করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের পুত্র ছাকিন মিয়া (৩২) নামের যুবক সহ তার সহযোগীদের উপর । উক্ত ঘটনায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় বাদী ও তার প্রতিবন্ধী পরিবারের সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি সহ মামলা হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন বলে বাদীর পরিবার স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়েস্থ গ্রামে।
এলাকাবাসী সূত্রে ও মামলার এজাহার উল্লেখ, ভিকটিমের পরিবার জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের কায়েস্থ গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের পুত্র ছাকিন মিয়া (৩২) সে প্রায়ই একই গ্রামের প্রতিবন্ধী ও দিনমজুরের কিশোরী কন্যা (১৬)কে বাড়ির পাশ দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রায়ই
বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিতে টিটকারি, মশকারী ও নানা ধরনের কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো ছাকিন। এরই জেরধরে গত ২২ নভেম্বর ছাকিন মিয়া সবার দৃষ্টি অগোচরে তাদের বসত ঘরে সুকৌশলে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। রাত যখন গভীর তখন সে তার কু উদ্দেশ্য হাসিল করিতে, মেয়েটি যখন তার ছোট বোনকে নিয়ে প্রতিদিনের মতো ঘুমিয়ে ছিলো সেই রাত অনুমান ২টার দিকে ছাকিন মিয়া ঘুমন্ত অবস্থায় মেয়েটির উপর ঝাপিয়ে পড়ে তার মুখে কাপড় দিয়ে বেধে ফেলে তাকে জড়িয়ে ধরে । মেয়েটি তখন সজাগ হয়ে তাকে বাধা দিলে সে তার মুখচেপে ধরে এক পর্যায়ে তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় মেয়েটির সুর চিৎকার করলে বাড়ির লোকজন এসে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।
এ ঘটনায় ছাকিন মিয়া (৩২), ও তার সহযোগী কাউছার মিয়া (২৩), সালাম মিয়া (৩৮) ও সুজাত মিয়াকে (৪১) গংদের অপকর্মের ঘটনা স্থানীয় সামাজিক ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করে পরবর্তীতে স্থানীয় মানবাধিকার কর্মীদের সহায়তায় উল্লেখিত ব্যক্তিদের
আসামি করে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে আসামি ও তাদের
লোকজন।
মামলার বাদীর পিতা অসহায় প্রতিবন্ধী আবুল মিয়া বলেন,
মামলা করায় আসামির লোকজন আমার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। আমরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি।
তিনি আরো বলেন, উক্ত মামলাটি হবিগঞ্জ পিবিআই তদন্ত করছেন। এ বিষয়ে মামলার আসামী পক্ষের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি৷