নিজস্ব সংবাদদাতা : বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় ধান চাষের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে মরিচ চাষ করেও কৃষকরা লোকসানের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছেন না। চলতি মৌসুমে বাজারে ইরি বোরো ধানের দাম কম হওয়ায় কৃষকরা লোকসানে পড়েন। সেই লোকসানকে পুষিয়ে নিতে তারা কাঁচা মরিচ চাষে ঝুঁকে পড়েন। কিন্তু বর্তমান বাজারে মাত্র ১২ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি হওয়ায় ধানের লোকসান পুষিয়ে নেওয়াতো দূরের কথা, মরিচ চাষের খরচই তুলতে পারছেন না তারা।
আদমদীঘি উপজেলার কোমারপুর, মঙ্গলপুর, জিনইর, কাশিমালা, শিবপুর, কড়ই, সালগ্রাম, আমইল, তেতুলিয়া, ছাতিয়াগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় ১৮৮ বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়। এখানকার মরিচ ঢাকা, চট্রগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হয়।
আমইল গ্রামের মরিচ চাষি জাহাঙ্গীর আলম জানান, বাজারে ধানের কম দাম পাওয়ায় সেই লোকসান পুষিয়ে নিতে এবার বেশি পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষ করেছিলেন। এক বিঘা জমিতে মরিচ চাষে প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু মাত্র ১২ টাকা কেজিতে মরিচ বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না।
সালগ্রামের মরিচ চাষি হামিদুল ইসলামও মরিচের দাম কম পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
কাঁচা মরিচের পাইকারি ব্যবসায়ি সোহেল ও ফারুক হোসেন জানান, আদমদীঘি থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার মন কাঁচা মরিচ সরবরাহ করা হয়। বাজারে কাঁচা মরিচের অধিক সরবরাহ ও পাইকার কম থাকায় মূল্য কমে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠুন চন্দ্র অধিকারি বলেন, এবার কাঁচা মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই বাজারে সরবরাহ বেশি ও ক্রেতা কম থাকায় কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমে গেছে।