কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো আগুন। পুড়ে গেল ৪ শতাধিক বসতি, ০১ শিশু নিহত।
উমার রাযী, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি-
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং মেগা ক্যাম্পে আবারো ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক শিশু নিহত ও বহু রোহিঙ্গা নারী ও শিশু আহত হয়েছে। এ ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে অন্তত চার শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের উখিয়ার ৪ টি, কক্সবাজারের ৩ টি ও ক্যাম্পের ১ টি স্যাটেলাইট ইউনিট অগ্নিনির্বাপক অভিযানে অংশ নেয়। উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানায় সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত দীর্ঘ সময় চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে।
কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশন অফিসের অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ শামছু উদ দৌজা বলেন, প্রায় তিন শতের মত রোহিঙ্গা ঘর পুড়ে গেছে বলে প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে।
রোহিঙ্গা ও এনজিওকর্মীরা জানান, মঙ্গলবার বিকেলে পৌনে ৪ টার দিকে উখিয়ার কুতুপালং ৫ নং ক্যাম্পের ডি/৬ নং ব্লক থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। বাতাসে আগুন আরো দ্রুত পাশ্ববর্তী আরও ৩ টি ব্লকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঐ ক্যাম্পে ডি/৬ ব্লকের ৬ মাস বয়সী এক শিশু আগুনে পুঁড়ে মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কিছুদিন যেতে না যেতেই কোন না কোন ক্যাম্পে আকস্মিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। ২০২২ সালের ২ জানুয়ারী থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ৪ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বড় ধরনের অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
গত ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে যায় প্রায় ৬০০ ঘর। এর আগে ২ জানুয়ারি ২০ নং এক্সটেনশন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের একটি বিশেষায়িত ৭০ শয্যার করোনা হাসপাতালটি পুড়ে যায়। গত বছর রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে ৬৫ টি ও ২০২০ সালে ৮২ টি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। গত বছর ২২ মার্চে আলোচিত অগ্নিকান্ডের উখিয়ার কুতুপালং মেগা তিন ক্যাম্পে ১০ হাজার ঘর পুড়ে যায়। মারা যায় ১১ জন রোহিঙ্গা।
ক্যাম্পের সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্হানীয় লোকজনের উদ্বৃতি দিয়ে উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাব সভাপতি পলাশ বড়ুয়া বলেন ,কয়দিন পরপর অগ্নিকান্ডের ঘটনা কোন স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ক্যাম্পের যারা সাইট ম্যানেজমেন্ট ও শেল্টার ব্যবস্হাপনার কাজ করেন তাদের একটি অংশ কিছু রোহিঙ্গাদের দিয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর আশংকা করেছেন অনেকেই।