মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অগ্নিবীণা ললিতকলা একাডেমির ১৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
হাবিব হাসান মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অগ্নিবীণা ললিতকলা একাডেমির ১৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন।
অনুষ্ঠানকে ঘিরে একাডেমির ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক ও সরকারি বিকেবি ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তন এক বর্ণাঢ্য সাজে সেজেছিল। এ উপলক্ষে
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, গুণীজন সম্মননা ও একাডেমির ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে সনদ বিতরণ করা হয়। শুক্রবার সকাল ৯ টা থেকে অনুষ্ঠান শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ হয়। অগ্নিবীণা ললিতকলা একাডেমির আয়োজনে বিকেবি ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মহিউদ্দিন আহাম্মেদ,
একাডেমির কর্নধার এজাজ আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও সুুচিত্রা মুদির উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে আরো অতিথি ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল মতিন হাওলাদার, বিক্রমপুর কেবি ডিগ্রী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ সামসুল হক হাওলাদার, ইছাপুরা সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ আমিন, ইছাপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. সুমন মিয়া, মধ্যপাড়া ইউ পি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম প্রমুখ।”বাজে বাজে রম্য বীণা বাজে” রবীন্দ্রনাথের পূজা পর্যায়ের এই গানের বাণীকে প্রতিপাদ্য করে সাজিয়েছিল একাডেমির ১৯ তম বার্ষিকীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
বৈশ্বিক মহামারি ও যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া দেশগুলোকে জানান সলীল চৌধুরীর লেখা ও সুর করা “আমাদের নানার মতে নানা দলে দলাদলি ” গণসংগীতটি দলীয় ভাবে পরিবেশিত হয়। সনদ প্রার্থী ইফফাত নাবিহা অনন্যা দেশের গান ” আমার মন পাখিটা যায়রে উড়ে যায় ‘ পরিবেশেন করে।পর পরই একাডেমির ছাত্র-ছাত্রীরা সমবেত কণ্ঠে গেয়ে ওঠে “আগা নাওয়ে ডুবু ডুবু পাছা বইস” আব্বাস উদ্দীনের গাওয়া এই ভাওয়াইয়া গানটি।
এরপরই শুরু হয় সুরের ভূবন থেকে সম্প্রতি খসে পড়া তিনটি নক্ষত্রের (লতা মঙ্গেসকর, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও বাপ্পী লাহিড়ী) সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ ও তাদের একটি করে গান পরিবেশনের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন। একাডেমির সনদপ্রাপ্ত ছাত্রী সৃষ্টিমনি ” যারে যারে উড়ে পাখি “রেশমি আক্তার” আমি তার ছলনায় ভুলবনা” এবং পরিচালক মো. এজাজ হোসেন খান – এর কণ্ঠে “মঙ্গল দ্বীপটি জ্বেলে” গান শুনে শ্রোতারা মুগ্ধ হন