আওয়ামীলীগের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও তৃনমূল নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন সাবেক এমপি মাহবুব ॥
কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ আওয়ামীলীগের ত্যাগী,
পরীক্ষিত ও তৃনমূল নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন অষ্টম জাতীয় সংসদের
এমপি, নবম জাতীয় সংসদের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান। দশম জাতীয়
সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলেও মন্ত্রী পরিষদে আর জায়গা হয়নি তাঁর।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার পর বিপাকে পড়েন
তিঁনি। তাঁর ঠিকাদারী ফার্ম, ইটভাটা সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পার্টনাররা
বিদেশে পাড়ি জমান, অন্যরা এড়িয়ে চলতে থাকেন তাঁকে তরী ভেড়াতে চেষ্টা করে
ব্যর্থ হয় রাজনীতির নতুন প্লাট ফর্মে যোগ দেন। বহু লবিং-তদ্বিরে ফিরে পান
দলের উপজেলা সভাপতির পদ। এরপর পেছনের ভুল শুধরে রাজনীতি নতুন করে পথ চলা
তাঁর। স্ত্রীকে সাথে নিয়ে দলের ত্যাগী, পরীক্ষিত, অসুস্থ ও তৃনমূল
নেতা-কর্মীদের বাসায় গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন তিঁনি। অনুসারীরা সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে কর্মী বান্ধব নেতা বানিয়ে আবারো আলোচনায়
তিনি।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মো: মনিরুল ইসলাম
অসুস্থ্য, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বাসায় বাসায় স্ত্রীকে সাথে নিয়ে মো:
মাহবুবুর রহমানের ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়ার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে
চাননি। তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মো: মনজুরুল ইসলাম
তাঁকে সত্যিকার অর্থে একজন কর্মীবান্ধব নেতা বলে মন্তব্য করেছেন।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল
মোতালেব তালুকদার গনমাধ্যমকে বলেন, ’তিঁনি তিন তিন বার দলের এমপি, একবার
প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি। তিঁনি
নেতা-কর্মীদের খোঁজ রাখবেন এটাকে আমি ইতিবাচক মনে করি।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মার্চ পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র উদ্বোধন করতে
কলাপাড়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার আগমনের প্রাক্কালে
দীর্ঘদিন খোঁজ না রাখা দলের অসুস্থ নেতা-কর্মীদের বাসায় গিয়ে কুশল
বিনিময়। কেউ আবার এটাকে দলের গ্রীন সিগনাল পেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে দেখলেও দলেরস্থানীয় সিংহভাগ নেতা তাঁকে
রাজনীতির রেসে ডেথ হর্স বলে মন্তব্য করছে। তবে উপজেলা আওয়ামীলীগের
কিয়দাংশ নেতা তাঁকে কর্মী বান্ধব নেতা বলছে।