মোঃ আরাফাত সানী: কক্সবাজার;
কক্সবাজারে মাদক ব্যবাসায়ীদের ধারালো দেশীয় অস্ত্র ও দায়ের কোপে প্রবাসীর স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছে। টেকনাফ সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জাহাঁলিয়া পাড়া গ্রামে ১২ জুন (শুক্রবার) দুপুরে ঘটাটি ঘটে ।
সুত্রে জানা যায়, জাহাঁলিয়া পাড়ার মৃত কালু মিয়ার পুত্র প্রবাসী হোসেন আহমদ এর স্ত্রীর মালিকানধীন দোয়েল গাড়ীর ড্রাইভার ছিল বশির আহমদ । বশির আহমদ ওই গাড়ীতে করে কৌশলে মাদক পাচার করত। বিষয়টি জানতে পেরে প্রবাসী হোসেন আহমদ এর স্ত্রী শাহনাজ বেগম তাকে ওই গাড়ীতে করে মাদক পাচার করতে নিষেধ করিলে তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এনিয়ে শাহনাজ বেগম এর সাথে দেবর বশির আহমদের একাধিকবার ঝগড়া হয়। এরই জের ধরে ১২ জুন (শুক্রবার) দুপুরে বশির আহমদ এর সাথে কথাকাটি হলে বশির ও তার স্ত্রী জয়নব বিবি শাহনাজ বেগম কে দেশীয় অস্ত্র ও ধারালো দা দিয়ে প্রানে হত্যার উদ্দেশে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। উক্ত ঘটনায় শাহনাজ বেগমের ভাই মোঃ জাহেদ হোসন বাদী ৪জনের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে বলে জানা যায়।
ঘটনার বিষয়ে বিবাদীর মা জানান, তার পুত্র বশির আহমদ একজন মাদক পাচারকারী। সে একাধিকবার চট্রগ্রাম ও কক্সবাজারে ইয়াবাসহ আটক হয়ে কারা ভোগ করেছে। তিনি আরো জানান, তার পুত্র বধু শাহনাজকে কুপিয়ে আহত করার পর তাকেও প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। বর্তমানে তারা প্রান নাশের আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে বলেও জানান তিনি।
মোঃ জাহেদ হোসেন জানান, তার ভগ্নিপতি হোসেন আহমদ প্রবাসে থাকায়, তার স্ত্রী (বাদীর বোন) শাহনাজ বেগমের সাথে বিবাদী বশির আহমদের প্রায় সময় বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া হত। বশির আহমদ একজন সন্ত্রাস প্রকৃতি ও মাদক কারবারী হওয়ায় পরিবারে সহজেই তার বিরুদ্ধে মুখখোলার সাহস পেতনা। তিনি আরো জানান আহত শাহনাজ বেগম টেকনাফ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার রেফার করে, আহত গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে চট্রগ্রাম হাসপাতালে প্রেরণ করে। বর্তমানে চট্রগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তাঁর অবস্থা আশংকা জনক।
শাহনাজ বেগমের শিশু কন্যা তাসফিয়া জানান, তার চাচা, চাচী প্রায় সময় তার মার সাথে ঝগড়া করে দা দিয়ে কুপাতে যেত। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে তার চাচা বশির আহমদ ও চাচী জয়নব বিবি ধারালো অস্ত্র ও দা নিয়ে তার মাকে কুপিয়ে আহত করে। তার মা বর্তমানে আশংকাজনক অবস্থায় রয়েছে। প্রানে বাচবে কিনা সন্দেহ আছে। তিনি তার মায়ের বিচারের জন্য আইনশৃংখরা বহিনীর নিকট বিচার দাবী করেন।
স্থানীয় এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বশির আহমদ একজন সন্ত্রাসী, তার সাথে জাহাঁলিয়া পাড়ার পূর্বপাশের পাহাড়ে অবস্থানরত রোহিঙ্গা ডাকাতদের যোগাযোগ রয়েছে। তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ বরলে মাদক ও ডাকাতের বিষয়ে বহু নতুন তথ্য পাওয়া যেতে পারে। এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার এসআই ইফতেখার জানান, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।