নাজমুল হুদা, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা অপরূপ
এই বাংলাদেশ। এদেশের মাটিতে সবধরণের ফসল ফলানো যায়। তেমনি বগুড়ার
নন্দীগ্রাম উপজেলার মাটিতেও সবধরণের ফসল ফলানো সম্ভব হয়। এ উপজেলায় বছরে
৩ বার ধানের চাষাবাদের পাশাপাশি রবিশস্যরও চাষাবাদ করা হয়ে থাকে। এবারো তাই
হয়েছে। চলতি রবি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৬ শ’ হেক্টর জমিতে ১ লাখ ১০
হাজার ৪ শ’ মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও ৩ হাজার ৩ শ’
২০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষাবাদ হয়েছে। এরমধ্যে কার্ডিনাল জাতের ৭ শ’ ৫০ হেক্টর,
ডায়মন্ড জাতের ১ হাজার ৮ শ’ ৮৫ হেক্টর, এ্যাসটেরিক্স ২ শ’ ৮০ হেক্টর, রুমানা ১ শ’
২০ হেক্টর, পাকড়ি ২ শ’ ৬০ হেক্টর ও হাগড়াই ২৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে।
উপজেলার বীরপলি গ্রামের আদর্শ কৃষক রুহুল আমিন ৮০ বিঘা জমিতে ডায়মন্ড
জাতের আলুর চাষ করে। তার বিঘাপ্রতি আলুর ফলন হয়েছে ১ শ’ ২০ থেকে ১ শ’ ৩০
মণ হারে। তিনি জানান, এবারো আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। তেমনি আলুর
বাজারমূল্যও বেশ ভালো রয়েছে। এতে আমরা অনেক খুশি। বাদলাশন গ্রামের কৃষক
রেজাউল করিম ৩ বিঘা জমিতে পাগড়ি জাতের আলুর চাষাবাদ করে। তিনি জানান,
এবার আলুর বাজারমূল্য অনেক ভালো রয়েছে। এতে আমরা খুশি রয়েছি। আলুর
চাষাবাদে বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। খরচ বাদ দিয়ে
বিঘাপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। এ কারণে আলুর চাষাবাদকে লাভজনক
চাষাবাদ হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। উপজেলা কৃষি অফিসার আদনান বাবু
জানান, এবারো এ উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। এতে কৃষকরা সবচেয়ে
বেশি লাভবান হবে। বর্তমানে আলুর বাজারমূল্য অনেক ভালো রয়েছে। উপজেলার
বিভিন্ন হাট-বাজারে ১৫ থেকে ১৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রয় হচ্ছে। দেশের
বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে আলু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে।