আসলাম পারভেজ, চট্টগ্রাম থেকে
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ১নং ফরহদাবাদ ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মন্দাকিনী গ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর ও দুইদিনব্যাপী মন্দাকিনী স্নান ও মেলা বুধবার মহাসমারোহে সম্পন্ন হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ভাবে মেলা উদযাপনের জন্য কমিটি ও প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করেছেন।
জানা যায়, মেলায় সনাতনী ও উপজাতী ত্রিপুরা সম্প্রদায় প্রত্যেক বছরের ন্যায় মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে সীতাকুন্ড পাহাড়ের জলপ্রপাত থেকে উৎপত্তি হওয়া মন্দাকিনী খালের পানিতে স্নান করতে আসেন। এতে স্নান করলে মহাপূর্ণ্যরে অধিকারী হতে পারে বলে স্মরণাতীর্ত কাল থেকে সনাতনী সম্প্রদায় এ বিশ্বাস লালন করে আসছেন। এ বিশ্বাসের সূত্র ধরে বংশানুক্রমে এ তিথিতে মন্দাকিনী খালে স্নান করলে মহাপূর্ণ্য ছাড়াও শরীর, মন ও দেহ পবিত্র হয়। মেলায় সনাতনী সম্প্রদায় ছাড়া ও নানা ধর্মের লোকজনের সমাগম ঘটে। তাই উদার মানসিকতার লোকজন এ মেলাকে সম্প্রীতির ও বন্ধুত্বের মেলা বলে আখ্যায়িত করেন।
পার্ব্বত্য জেলা খাগড়াছড়ির, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি ও লক্ষীছড়িসহ চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত পূর্ণাথীদের সাথে কথা বলে জানা যায়,
মন্দাকিনী মেলা সনাতনী সম্প্রদায়ের কাছে মিলন মেলা। প্রতি বছর এমেলার জন্য লোকজন অপেক্ষা করে থাকে। পার্বত্য জেলা ও উত্তর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যাক পূর্ণার্থী বিভিন্ন যানবাহনে করে মেলায় এসেছেন। মেলার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় ছিল। সরকারি ভাবে মন্দাকিনী খালে পাকা ঘাটলা নির্মাণের কারণে স্নান তর্পনের জন্য সুবিধা হওয়ায় উপস্থিত পূর্ণাথীরা মহাখুশি। এবার খালে পর্যাপ্ত পরিমান পানি থাকায় পূর্ণার্থীদের কোন অসুবিধা হয়নি।
মেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে গৌবিন্দ প্রসাদ মহাজন ও পাঁচকড়ি শীল জানান, মন্দাকিনি মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ত্রিপুরা ও সনাতন সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক পূণ্যার্থী সমাগম ঘটে। সুন্দর ও সুশৃংঙ্খলা ভাবে বারুণী স্নান, পূজা, তর্পণসহ ,আলোচনা সভা, ধর্মীয় কীর্তন, সাংস্কৃতিক ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান. মন্দকিনী স্নানে ও মেলার নিভিঘে র্শান্তিপূর্ণ ভাবে উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত আইন শৃংঙ্খলা বহিনী দায়িত্ব পালন করেন।