সিরাজদিখানে মুন্সীগঞ্জ ১ আসনের এমপি মাহী বি চৌধুরীর উপস্থিতিতে খুশিতে আত্মহারা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, মে ৬, ২০২২

হাবিব হাসান সিরাজদিখান মুন্সীগঞ্জ,

সিরাজদিখান উপজেলার কোলা ইউনিয়নের জিবসরায় আশ্রয়ণ প্রকল্পে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন হঠাৎ মুন্সীগঞ্জ ১ আসনের এমপি মাহী বি চৌধুরী উপস্থিতিতে খুশিতে আত্মহারা হন আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার ঈদুল ফিতরের দিন বেলা ১০ ঘটিকায় মাহী বি চৌধুরীর নেতৃত্বে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শরিফুল আলম তানভীর ও সিরাজদিখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুল হক সহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম মিন্টু এবং অত্র ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যরা আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে ঈদ উদযাপন করেন।

উপকারভোগীদের সাথে ঈদ করতে এসে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য জনাব মাহী বি. চৌধুরী বলেন, ভূমিহীনদের জমি দিতে হবে আমি আমেরিকাতেও দেখি নাই। সরকার ডেকে এনে জমি সহ বাড়ি দিয়ে দেয় এটা কিন্ত অন্য কোন দেশে নাই। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যেটা চিন্তা করছেন এটা আসলেই অনন্য দৃষ্টান্ত। আপনরা সবাই প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে যারা আছেন তারা যেন প্রধানমন্ত্রী যে চিন্তা করে দেশের জন্য তার দশ ভাগ চিন্তাটা করেন দেশের কল্যাণে। একজন মানুষ একলা একলা চিন্তা করে দেশ এগিয়ে নিতে পারেনা।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী দিনের মধ্যে ২০ ঘণ্টা খাটে, দেশ ছাড়া কোনকিছু চিন্তা করেনা। আশেপাশে যারা আছে তারা দশের মধ্যে নয় বার শুধু নিজের চিন্তা করে একবার দেশের জন্য করে। প্রধানমন্ত্রীর দল করলেই প্রধানমন্ত্রীর অনুসরণ করা হয় না। আমরাতো প্রধানমন্ত্রীর দল করিনা কিন্তু তার ভালো কাজটা অনুসরণ করার চেষ্টা করি। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে দেশটাকে কিভাবে আগায়া নেওয়া যায়, এর বাহিরে কিন্ত আর রাজনীতি নাই।

তিনি আরও বলেন, এখানে একটা সুন্দর প্রকল্প শেষ করছেন এবং আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত যে ৮৭২ স্কয়ার ফুট একেকটা ঘর ২ লক্ষ ২০ হাজার টাকায় শেষ করছেন। মানে একেক স্কয়ার ফুট আড়াইশ টাকা খরচ হয়েছে মাত্র, সত্যি এটা ম্যাজিক। যাই হোক এখন কিছু ছোটখাটো কাজ আছে সেগুলো শেষ করে দিয়েন। যদি সেটার বাজেট না থাকে আমাদেরকে বইলেন। ঘর এবং জমি যেহেতু দিলাম সেহেতু শান্তিতে যাতে ঘুমাতে পারে। আর এই প্রকল্প করে যেহেতু সাকসেস হইছি আমরা আগামীতে আরও বড় আশ্রয়ণ প্রকল্প কিভাবে করা যায় আরও বেশি মানুষকে জমি ঘর দেওয়া যায় সেটা নিয়েও ভাবতে হবে।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শরিফুল আলম তানভীর বলেন, ঈদের খুশী সবার মাঝে ভাগাভাগি করার আনন্দই অন্যরকম আর সেটা যদি হয় আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে তাহলেতো আনন্দের সীমাই থাকেনা। ঈদুল ফিতরের দিন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মাহী বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে কোলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন করলাম আশ্রয়ন প্রকল্পের উপকারভোগীদের সাথে। পরিবারের সদস্যদের মতই তারা আমাদের আপন করে নিয়েছেন ঈদের এই খুশীর দিনে। অন্যরকম ঈদের এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে জীবনে।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুল হক বলেন, বাংলাদেশী হিসেবে আমি নিজেকে গর্বিতবোধ করি যে প্রধানমন্ত্রী মুখে যে কথাটি বলেন যে- একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবেনা। তার ফলশ্রুতিতে মানুষ যেখানে ঈদে যাকাত হিসেবে কাপড় পাঞ্জাবী লুঙ্গি বা দুচারটা টাকা দেয় সেখানে আমাদের প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদেরকে ঘর উপহার দিচ্ছেন। এর চেয়ে বড় আনন্দের কিছু হতে পারে না। এটা বিশ্বে অনন্য নজির বলে মনে করি। আর উপকারভোগীদের সাথে ঈদ করা, তাদের সাথে সেমাই খাওয়ার অনুভূতিই অন্য রকম।

উল্লেখ্য, সিরাজদিখান উপজেলায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে ২ শতাংশ জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি রান্নাঘর একটি টয়লেট ও একটি বারান্দাসহ ৫০ টি গৃহ ৫০ টি গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। ৩য় পর্যায়ে নির্মাণকৃত সারাদেশে একযোগে গৃহ ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে বিতরণ কার্যক্রমের এর ধারাবাহিকতায় উপজেলার কোলা ইউনিয়নে ১০ টি ভুমিহীন পরিবার ও মালখানগর ইউনিয়নে ৩ টি পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণ করা হয়।




error: Content is protected !!