সিলেট সুনামগঞ্জের পর এবার বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ ৷ পানিবন্দী হচ্ছেন গ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ৷ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে উপজেলা প্রশাসন৷
এম.মুজিবুর রহমানঃ নবীগঞ্জ ( হবিগঞ্জ) থেকেঃ
সিলেট, সুনামগঞ্জের পর এবার টানা ভারী বর্ষণের পানিতে পানিবন্দী হচ্ছেন গ্রামের নিম্নাঞ্চলের মানুষ৷ কুশিয়ারা নদীর ডাইক ঝুঁকির মূখে বিপদসীমার ওপর দিয়ে যে কোনো সময় পানি অতিবাহিত হতে পারে৷
ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় বন্যার তীব্রতা বাড়ছে, কুশিয়ারা নদীর পানি আরও যেভাবে বাড়তে শুরু করেছে। যার ফলে , হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ সহ আশপাশের এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
গত শুক্রবার রাত থেকে উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের হুসেন,কুমারকাদা,গালিমপুর, মাধবপুর, রাধাপুর,
,দুর্গা পুর, দাউদপুর,বোয়ালজুর,রঘু দাউদ পুর, কারখানা বহরমপুর, দরবেশ পুর ও আউশকান্দি ইউনিয়নের চরগাও,আলমপুর, পারকুল, ঢালার পাড় সহ অনেক গ্রামের অসংখ্য পরিবার গত দু’দিনধরে পানিবন্দী অবস্থায় রয়েছেন৷
বহরপুর গ্রামের মোহন মিয়া,বোয়ালজুর গ্রামের চুনু মিয়া,মশাহিদ মিয়া,সহ আরো অনেকেই বলেন আমরা বন্যার পানিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছি৷ গ্রামের রাস্তাঘাট সহ ঘরবাড়ী অনেকটাই পানির নীচে তলিয়ে গেছে৷ স্কুল, মাদরাসা, মসজিদ গুলো ও পানিবন্দী৷
তাই ঝুকিপূর্ণ কুশিয়ারা ডাইক দিয়ে যদি পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়৷ তবে সমস্ত এলাকা একেবারে প্লাবিত হবার সম্ভাবনা রয়েছে৷
এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ বিষয়ে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং বন্যার্ত মানুষের পাশে রয়েছে প্রশাসন, উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে৷ এবং বিশুদ্ধ পানি সহ শুকনো খাবার ইতিমধ্যে
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোর মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে৷ এমনকি উদ্ধার কাজের জন্য নৌকা প্রস্তুত রেখেছে প্রশাসন৷