নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

জানা যায়, মৃত তাসলিমা বেগম মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের আগলাদিয়া গ্রামের আনোয়ার ব্যাপারীর মেয়ে।

একই এলাকার সেকেন্দার শেখের পুত্র মহিদুল শেখ (৩০) সাথে দীর্ঘ ১১ বছর আগে বিবাহ হয় তাসলিমার। তাদের সংসারে ৮ বছরের একটি ছেলে ও ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

স্থানিয় মোঃ ইয়াছিন জানান, বেশকিছু দিন ধরেই তার স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার মোংলা থানায় বসাবসিও হয়।

তাসলিমার শাশুরী শাহিদা বেগম (৬০) বলেন, আজ বৃহস্পতিবার আমার ছেলের লুডু খেলা নিয়ে তার স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ছেলে মহিদুল বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে বিকালে আমার ছোট ছেলের স্ত্রীকে দেখতে যাই আমি। সেখান থেকে সন্ধ্যায় ফিরে এসে দেখি ঘরের আড়ার (চৌকাঠ) সাথে গলায় দড়ি দিয়ে তাসলিমা ঝুলে আছে। সাথে সাথে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।

মৃত তাসলিমা বেগমের মেঝো ভাই মফিজুল ব্যাপারী (৩২) বলেন, আমার বোন আত্মহত্যা করেনি। তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এর আগেও এদের ঝগড়া নিয়ে মোংলা থানায় কয়েকবার বসা বসি করে তাদের মিলিয়ে দেওয়া হয়।

মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোহাইমেন ইবনে মোস্তাফিজ বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসছে পরিবার। মৃতের গলায় দাগ ছিলো।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা এটা তদন্ত করছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বাগেরহাট মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের পর বোঝা যাবে এটি হত্যা নাকি আত্যহত্যা।