নীলফামারীতে রেলের জমিতে অবৈধ সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল, দূদককে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন মহামান্য হাইকোর্ট।
মোঃ সাগর আলী, নীলফামারী ঃ মহামান্য সূপ্রীম কোর্ট অব বাংলাদেশের হাইকোর্ট ডিভিশনে একটি রীট পিটিশন মামলা দায়ের করেন। রীট পিটিশন নং-৮১২৫/২০২২। বাদী মনোয়ার হোসেন মনো, পিতা মৃত রাহাত আলী, সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ রেল শ্রমিক ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় কমিটি, রাজশাহী। মামলার ১নং বিবাদী করা হয় চেয়ারম্যান, দূর্নীতি দমন কমিশন, ২নং বিবাদী সচিব, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ৩নং বিবাদী ডিরেক্টর জেনারেল, বাংলাদেশ রেলওয়ে, ৪ নং বিবাদী প্রধান ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম, ৫নং বিবাদী উপ-পরিচালক, দূর্নীতি দমন কমিশন, ৬নং বিবাদী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, দিনাজপুর, ৭নং বিবাদী অধ্যক্ষ, লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, ৮নং বিবাদী উপ-পরিচালক, মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, রংপুর।
দূর্নীতি দমন কমিশন ৩০/১০/২০১৯ সালে সৈয়দপুর রেলের ৫ হাজার কোটি টাকার ভূসম্পদ আত্মসাৎের অভিযোগে স্বারক নং-০০.০১.৭৩০০.৬৩৬.০১.০০৮.১৭. ৪২৯৩২ স্বারকে সৈয়দপুর লায়ন্স এন্ড কলেজকে দূদক উপ পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম সৈয়দপুর পৌরসভার অধীনে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমির উপর নির্মিত প্রতিষ্ঠানের জমি লীজ/ভাড়া/লাইসেন্স গ্রহণের রেকর্ডপত্র উপরোক্ত জমির উপর ভবন নির্মানের অনুমোদিত নকশা/ ভাড়া পরিশোধের রশিদসহ অধ্যক্ষকে তলব করেন। স্কুলটি এমপিওভূক্ত অথচ ১৯৬২ সনের নিবন্ধিত করণের আইনের ৪ ধারা ৩ উপ ধারা মোতাবেক বিদ্যাালয়ের নামে জমি বরাদ্দ সাপেক্ষে এমপিওভূক্ত হইতে হবে। রেলের চীফ এষ্টট অফিসারের (পশ্চিম) এর কার্যালয় থেকে তথ্য অধিকার আইনে প্রাপ্ত তথ্য থেকে নং ল্যান্ড পাকশী/ তথ্য অধিকার আইন/ ২০১২/২০৩১ তারিখ ২৩/০৫/২০২১ লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ রেলের অধিগ্রহণকৃত জমির উপর নির্মিত। জমির পরিমান ১ একর ১৫ শতক। কোন প্রকার পূর্বানুমতি না নিয়েই স্কুল কর্তৃপক্ষ ভবন নির্মান করেন। লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজকে রেলওয়ে প্রশাসন তাদের ভূমি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি। তারা কোন প্রকার ভাড়া প্রদান করেন না। অবৈধ ভাবে ভূমি ব্যবহারের ভাড়া বাবদ ১ কোটি ১৫ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৬৮ টাকা বকেয়া রয়েছে। বর্তমানে বকেয়ার পরিমান প্রায় ৫ কোটি টাকার উপরে। বকেয়ার দাবীতে রেল কর্তৃপক্ষ নীলফামারী আদালতে সিসি-৯/২০১০ সার্টিফিকেট মামলা দায়ের করেন এবং উচ্ছেদ কার্যক্রম গৃহিত হলে স্কুল কর্তৃপক্ষ সুকৌশলে ভাড়া পরিশোধ না করেই মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন করে সিসি মামলায় ষ্টে অর্ডার হাসিল করেন। বর্তমানে লায়ন্স স্কুল জমির পরিমান বাড়িয়ে ১ একর ৫০ শতক জমি অবৈধভাবে দখল করে আছে। মহামান্য উচ্চতর আদালত আবেদনকারীর রীট পিটিশন আমলে নিয়ে দূদকের উপপরিচালককে ৩০/১০/২০১৯ সালে তদন্ত করে সৈয়দপুর রেলের ৫ হাজার কোটি টাকার ভূসম্পত্তি আত্মসাৎের অভিযোগের তদন্তে লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে কি পরিমান অবৈধ দখল রয়েছে তা ৬০ কার্য দিবসের মধ্যে মহামান্য আদালতে জমা দেওয়ার নিদেশ প্রদান করেন।