কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি ঃ কলাপাড়ায় গত এক সপ্তাহে চুরির ঘটনা
বেড়ে গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসক-কোয়াটারসহ বেশকয়েকটি
বাসা-বাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দু:সাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ চুরির
ঘটনা ঘটায় এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক দু:শ্চিন্তা। স্থানীয়দের
ধারনা পৌর এলাকার বাসা-বাড়ীতে চুরির ঘটনা পরিকল্পিত এবংকোন সংঘবদ্ধ চোর
চক্র এ ঘটনা ঘটাচ্ছে। এদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা উচিৎ বলে জানান
এলাকাবাসী
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার শেষ বিকেলে পৌর এলাকার চৈয়াপাড়ায়œ একাটি
তিনতলা বাড়ীর দরজার তালা ভেঙ্গে চোরেরা ভিতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্রসহ
মালামাল তছনছ করে নগদ টাকাসহ স্বার্নালংকার নিয়ে যায়। এর আগের দিন পৌর
শহরের সদর রোড এলাকার মদিনা টেলিকম নামে একটি ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠানের রাতে
সাটারে তালা ভেঙ্গে চোরেরা বেশ কিছু দামি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। রহমতপুর
এলাকায় মো: জামান নামে একজনের বাসায় চোরের দল দরজার তালা ভেঙ্গে ভিতরে
ঢুকে ফ্রীজ, টেলিভিশনসহ আসবাবপত্র নেয়ার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়। এছাড়াও
গত শনিবার দুপুরে চুরি হয় কলাপাড়ায় হাসপাতের চিকিৎসক ডা. জে এইচ খান
লেলীনের বাসা। চোরেরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের চিকিৎসকের কোয়াটারের
দরজার ছিটকানি ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর বেডরুমে ডুকে আলমিরা ভেঙ্গে
স্বর্নালংকার, কাগজপত্র ও নগদ টাকা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওইদিন রাতে
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলাপাড়া সার্কেল আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন
করেন। ডা. লেলীন জানায়, ঘটনার সময় তিনি বাসায় ছিলেননা। হাসপাতালে ছিলেন।
টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন মোল্লা জানান,
টিয়াখালী ইউনিয়নে কিছুদিন আগে চুরির হিরিক ছিল, এখন কিছুটা কমেছে। তবে এ
চুরির ঘটনা একটি সংঘবদ্ধ চক্র ঘটাচ্ছে।
বাংলাদেশে কমিউনিষ্ট পার্টি কলাপাড়া শাখার সাধারন সম্পাদক কমরেড নাসির
তালুকদার জানান, দিনে দুপুরে একাধিক চুরির ঘটনায় এলাকার মানুষ এখন বেশ
আতংকিত। তিনিও এ ঘটনায় খুব উদ্বিগ্ন।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জসিম জানান, সম্প্রতি এসব
ঘটনার মধ্যে কলাপাড়া স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আর.এম.ও ডা. জুনায়েদ হোসেন
লেলিনের কোয়াটার কক্ষে চুরির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে, তদন্ত করে দেখা
হচ্ছে বিষয়টি। তবে অন্যসব চুরির বিষয়ে কেউ অভিযোগ দেয়নি।
