নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বেনাপোলে বন্দরে আবারো আমদানিকৃত পণ্যে মিললো নিষিদ্ধ ঘোষিত ফেনসিডিল ও যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটসহ বিভিন্ন ধরনের ঔষধ। ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান স্মার্ট লাইফ ফুটওয়ার ইন্ডাস্ট্রিজ ৭ আগষ্ট ৮৪০ ব্যাগ মাইক্রোসেল পিটি নামে একটি পণ্য চালান আমদানি করেন। যার আমদানি মুল্য ৩৭ হাজার মার্কিন ডলার। (বাংলাদেশি ৩৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা) পণ্যচালানটির রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের রাজস্থানের এসএস ব্লুকেম ইন্ডাস্ট্রি।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারতীয় একটি ট্রাক (যার নম্বর-নং ডাব্লিউ-বি ৪১-ই-০৯১৮) রোববার সকালে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পর বিশেষ গোপন খবরে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ পণ্য বোঝাই ট্রাকটি বন্দর থেকে কাস্টম হাউজে এনে বিভিন্ন সংস্থার সামনে ট্রাকের ত্রিপল খুলে আমদানিকৃত মালের মাথে ৬শ’ বোতল ফেনসিডিল এবং বিভিন্ন ধরনের ২২ হাজার ৫১৮ পিস নিষিদ্ধ ঔষধ পাওয়া পায়। সুজুতি এন্টারপ্রাইজ নামক একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট পন্য চালানটি খালাশের আগেই কাস্টমের জালে ধরা পড়ে গেল চোরাই পণ্য ভর্তি ট্রাকটি।
বেনাপোল কাস্টমসের যুগ্ম- কমিশনার আব্দুল রশীদ মিয়া জানান, দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র আমদানি পণ্যবাহী ট্রাকে চোরাচালানের মালামাল পাচার করছে। গত ৩ মাসে এধরনের অনেকগুলো চালান আটক করা হয়েছে। ভারতীয় ট্রাকের চালক, আমদানিকারক এবং সিএন্ডএফ এজেন্টের বিরুদ্ধে থানায় ফৌজদারি মামলা রুজু করা হবে।
এর আগে গত ১৫ জুন রাতে বেনাপোল বন্দরে ভারতীয় পণ্যবাহী একটি ট্রাক থেকে আমদানি নিষিদ্ধ ৭৪৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৮৬ কেজি গাঁজা, বিপুল পরিমাণ বাজি, ঔষধ ও প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, বন্দরে সিসি ক্যামেরা আর বিভিন্ন সংস্থার নজরদারী এড়িয়ে বৈধ পথে বৈধ পণ্যের সাথে ভারতীয় ট্রাক যোগে প্রায়ই ঢুকছে মাদকের বড় বড় চালান। এসব পণ্যের সাথে সরাসরি ভারতীয় ট্রাক চালকরা অবৈধ অর্থ কামানোর জন্য এ কাজে জড়িত হয়ে পড়ছে। আর ঘটনার সাথে এপার-ওপারের রাঘববোয়ালরা বরাবর থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে। এ কারণে কোন ভাবে মাদক প্রবেশ বন্ধ হচ্ছে না।