মোঃ শহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি;
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়নের শেখরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতি পক্ষের হামলায় ৬ জন আহত হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
হামলায় আহতরা হলেন শেখরা গ্রামের মজিবর শেখের দুই ছেলে উমর আলী শেখ( ৪৫) ও ডাবলু শেখ। অন্যরা হলেন ইব্রাহিম মোল্লার ছেলে জরাফত মোল্লা (৫৫), খেলাফত শেখের ছেলে সালামত শেখ (৪৬) গফুর মোল্লার ছেলে মিজানুর মোল্লা( ৪৬) আখতার মোল্লার ছেলে বাবু মোল্লা (৩৫)। শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি আছে আরো ৮ জন।
শেখরা গ্রামের হাসমত ও শাহাদত জানায় যে বুধবার সকাল ১০ টার দিকে উমর আলী শেখ টিউবল ক্রয় করার জন্য শেখরা বাজারে যায়। এই সময়ে ঐ গ্রামের মতিনের নেতৃত্বে প্রায় ২০/৩০ জনের একটি দল উমর আলীর উপর হামলা চালায়। হামলা চালানর পর গফুর, সিদ্দিক ও মনিরুলের বাড়ি ভাংচুর করতে থাকে।
তাদের বাড়ি ভাংচুরের বাধা দিলে এই সময়ে বাধা দান কারীদের উপর হামলা চালায়। তখন বাকী ৫ জন আহত হয়।
তারা আরও বলে যে নির্বাচনের পর থেকেই এদের বাড়ি উঠতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উমর আলী শেখ বাড়িতে আসার পর আজ সকালে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষে উমর আলীর প্রতিপক্ষ দলের ৭ জন আহত হয়ে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে।
নিত্যনন্দনপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বলেন, বিগত ৩ দিন আগে ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার মহোদয়ের সামনে আমি ও সাবেক চেয়ারম্যান মফিজ উদ্দিন প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ইউনিয়নে কোন প্রকার সংঘর্ষ না করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবো। আমার সেই প্রতিশ্রুতি যাহাতে না থাকে তার কারনেই আজ সম্পূর্ণ বিনা উসকানিতে এই সংঘর্ষের সুচনা করেছে। আমি সকল সময় চেষ্টা করি যাহাতে ইউনিয়নে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকে। আমার প্রতিপক্ষ দল সর্বদা অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করে বলে সে দাবী করে।
এই বিষয় নিয়ে শৈলকুপা থানায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।