সেনবাগে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাউল আত্বসাতের অভিযোগ ডিলারের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ১০:০১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২
মোঃইব্রাহিম নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের খাদ্য বন্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা মূল্যের চাউল কার্ড ধারীদের নিকট বিলি না করে আত্বসাতের অভিযোগে ডিলার কুতুবউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন। ১৫ সেপ্টেম্বর ৫৩/২০২২ নং স্বরকে এক পত্রে ব্যবস্থা গ্রহনের ওই লিখিত অভিযোগটি দেন।অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে,সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টুনীর আওয়তায় এলাকার অসহায় ও নিরিহ লোকজনের জন্য ১০ টাকা মূল্যের ৩০ কেজী করে চাউল বিতরণ করার জন্য কুতুবউদ্দিনকে খাদ্য বন্ধব ডিলার হিসাবে নিয়োগ প্রধান করে। কিন্তু ডিলার কুতুবউদ্দিন ১০জন কার্ড ধারীর নাম অন্তভূক্ত করে ওই কার্ডগুলো নিজের নিকট রক্ষিত রেখে দেয়। কিন্তু কার্ড ধারীরা বিষয়টি অবহিত ছিলোনা। ডিলার ওই কার্ডের চাউল উত্তোলন করে আত্বসাত করে অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। সম্প্রতি কার্ডগুলো অনলাইন কার্ডক্রম শুরু হলে ডিলার কুতুবউদ্দিন নিজে কার্ডগুলো অনলাইন করাতে গেলে বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর চেয়ারম্যান ওই ১০জন কার্ডধারীকে তার কার্যালয়ে ডেকে আনলে তারা তাদের নামে ১০টার মূল্যের চাউলের জন্য কার্ড ইস্যু হয়েছে বলে কিছুই জানেননা বলে অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপন অসহায় ও দুস্থদের চাউল আত্বসাতের প্রতিকার চেয়ে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মহাপরিচালক খাদ্য অধিদপ্তর ঢাকা, সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার, উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমেদ চৌধুরী, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের নিকট লিখিত অভিযোগে দায়ের করেন। এতে আলা উদ্দিন, সাহানা বেগম, আকিলমা বিবি ,বিবি খোদেজা ,জাকিয়া খাতুন ,জাহানারা বেগম, রেহানা বেগম, স্বপ্না আক্তার, আয়েশা বেগমের নাম উল্লেখ্য করেন।এব্যাপাে যোগাযোগ করলে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলার কুতুবউদ্দিন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,তিনি নিয়মতান্ত্রিক ভাবে রেজিষ্ঠার খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে কার্ড ধারীদের নিকট চাউল বিতরণ করেছেন। তবে,তিনি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, ভোটের সময় তিনি চেয়ারম্যানের পক্ষে ভোট না করায় তিনি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে তাকে হয়রানির চেষ্ঠা করছেন।এব্যাপারে অজুর্নতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রিপনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি অভিযোগ দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, খাদ্য বন্ধব কর্মসূচির ডিলার কুতুবউদ্দিন ২০২০ সাল থেকে ৩০জন কার্ডধারীকে চাউল না দিয়ে ওই কার্ডের চাউল নিজে উত্তোলন করে আত্বসাতের পর বিক্রি করে দিয়েছেন। এরমধ্যে ১০জনের তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে অচিরেই বাকী ২০জনের ব্যাপারে অভিযোগ দেওয়া হবে।
এব্যাপারে সেনবাগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি চেয়ারম্যান কর্তৃক দেওয়া একটি অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, বিষযটি তিনি খাদ্য কর্মকর্তাকে তদন্ত করার জন্য দিয়েছেন। তদন্তে সত্যতা পেলে ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।



error: Content is protected !!