মিঠুন গোস্বামী রাজবাড়ীঃ
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে বাল্যবিবাহের আয়োজনের অপরাধের কনের খালাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর ) বাদ জুম্মা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের বসিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আম্বিয়া সুলতানা বিয়ে বন্ধ করে তাদের এ দণ্ড দেন।
বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া শিশু (১৬) স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বালিয়াকান্দি উপজেলার মোহাম্মদ আলী শেখের মেয়ের সঙ্গে ফরিদপুরের মধুখালি উপজেলার বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিরত এক পাত্রের সঙ্গে বিয়ের আয়োজন চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব আম্বিয়া সুলতানা ইউপি চেয়ারম্যান জনাব আহম্মদ আলী, বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ, আনসার সদস্য ও গ্রাম পুলিশসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে সেখান থেকে পাত্রীসহ কন্যার বাবা, নানা পালিয়ে যায়।সেখানে সাউন্ড বক্স, রান্না করা খাবার, ডেকোরেটরের সামগ্রী, সামিয়ানা ইত্যাদির অস্তিত্ব লুকায়িত অবস্থায় পাওয়া যায়।পাত্রীর খালা রুপালি বেগমকে আটক করা হলে তিনি পাত্রীর সন্ধান জানান। সেখানে পাত্রীকে পাওয়া যায়।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা কনের বাড়িতে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের খালাকে ৫ হাজার অর্থদণ্ড দেন। পাশাপাশি মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না মর্মে পাত্রী ও পাত্রীর খালার কাছে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়।
বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আম্বিয়া সুলতানা বলেন, এই উপজেলায় বাল্যবিবাহ কোনোভাবেই হতে দেওয়া হবে না। তবে গোপনে কোনো বাল্যবিবাহের আয়োজন করা হলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক, বর, আয়োজক ও নিকাহ রেজিস্ট্রারকে আইনের আওতায় আনা হবে।