কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামে তেকোনা মুকা ফকিরের বাড়ীর পিছনে একটি খালের ভিতর থেকে একদিনের মেয়ে বাচ্চাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের দিকে আলামপুর ইউনিয়ন দহকুলা তেকোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত ঐ শিশু বাচ্চাটির পরিবারের সন্ধান পায়নি পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মডেল থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন খান।
সূত্র জানায়, দহকোলা গ্রামের তেকোনা মুকা ফকিরের বাড়ীর পিছনে একটি খালের ঝোড় থেকে শিশু বাচ্চার কান্নার শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জংগল পরিস্কার করে দেখতে পান একটি ফুঁটফুঁটে মেয়ে সন্তান পড়ে আছে। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে দহকোলা ক্যাম্প ইনচার্জকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে শিশু কন্যাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। বর্তমানে শিশুটি সদর হাসপাতালের ৪নং ওয়ার্ডে আছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
তবে সদর হাসপাতালের তত্বাধবায়ক নির্দেশনায় ঐ শিশুটির কোন চিকিৎসা না দিয়ে তাকে তালাবদ্ধ করে রাখার বিষয়টি চতুর্দিকে সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে। তার পর পরই সংবাদকর্মীরা বিষয়টির তথ্য নিতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ আবদুল মোমেন সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরণ ও মারমুখী হয়ে উঠেন। এই নিউজ ও ফুটেজ করা যাবে না বলে তিনি জানান। তথ্য নিতে হলে ডিসি সাহেবের অনুমতি লাগবে। তার অনুমতি ছাড়া তথ্য ও নিউজ নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে পুনরায় বাচ্চাটির নিউজ ও ফুটেজ নেওয়ার জন্য তার কাছে সাংবাদিক কর্মীরা গেলে সাংবাদিক পরিচয় দিলেই তিনি পিয়ন দিয়ে দরজা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, রাতে কোন সাক্ষাৎকার দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। তবে সাংবাদিক মহলের একটি প্রশ্ন রাতে উনি হাসপাতালে কি করেন।
অন্যদিকে হাসপাতালের আশে পাশে নোংড়া আবর্জনা পরিস্কারের বিষয়েও কোন নজর নেই তার। একের পর এক দুর্নীতির আখড়া বেঁেধছে হাসপাতালে। রোগীর স্বজনেরা অভিযোগ করে এসব কথাগুলো বলেন। দুর্নীতির চিত্র সাংবাদিক কর্মীরা চিত্র ধারণ করতে গেলে পুলিশ দিয়ে সব সময় বাধা প্রদান করেন।
বিষয়টি নিয়ে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আশরাফুল আলমকে মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ইচ্ছাকৃত রিসিভ করেননি। তিনিও কোন সাংবাদিকদের সঠিকভাবে তথ্য দেন না। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাইদুর ইসলাম বলেন সাংবাদিকদের অনুমতির বিষয়ে তিনি কোন নির্দেশ দেননি। বর্তমানে বাচ্চাটি তত্বাবধায়কের হেফাজতে আছেন বলে তিনি জানান। তবে সাংবাদিকের বিষয়ে অনুমতি বা খারাপ আচরণের বিষয়ে তিনি দেখছেন বলে তিনি জানান।
স্থানীয় মহল ও অন্যান্য রোগীর স্বজনেরা জানান, সদর হাসপাতালে এ ধরনের তত্বাবধায়ক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসারদের দিয়ে হাসপাতাল পরিচালনার প্রয়োজন নেই। তাদের কারনে হাসপাতালের রোগীরাও পাচ্ছেনা সঠিক সেবা। সেবা নিতে গেলে তারা বেসরকারী হাসপাতালে প্রেরণের নির্দেশ দেন রোগীদের। তাহলে সরকারে টাকায় বসে খাওয়া ছাড়া তাদের কিছুই করার নেই বলে অভিযোগের তীর ছুড়েছেন।