পুনরায় খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন শেখ হারুন অর রশিদ খান

প্রকাশিত: ১:৪৬ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৮, ২০২২
এস কে ইউসুফ, খুলনা।। খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুন আর রশিদ মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে ৫৩৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এস, এম মোস্তফা রশিদী দারা চশমা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৩ ভোট। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। উৎসবমুখর পরিবেশে সকাল ৯টা থেকে খুলনা জেলার সকল কেন্দ্রে একইসাথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। এবং কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। শেখ হারুন আর রশিদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সেই ১৯৬২ সালে দৌলতপুরস্থ বি.এল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রত্যক্ষভাবে ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন, সেখান থেকে অদ্যাবধি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সেবক হিসেবে সকলকে সাথে নিয়ে কাজ করে আসছেন। দেখতে দেখতে অতিক্রম করেছেন ৬১ বছর। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত থাকাকালীন ৬ দফা আন্দোলন, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচনসহ বিভিন্ন আন্দোলণে তৃণমূলে ছুটে বেড়িয়েছেন দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ১৯৭১ সালের বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করা সহ প্রত্যক্ষভাবে অস্ত্রহাতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শরীক হন। ১৯৭৩-৭৪ সালে খুলনা জেলা কৃষকলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বটিয়াঘাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১০ বছর। জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও সাংগাঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেন দীর্ঘ দিন। ১৯৮২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে খুলনা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে পূণরায় সংসদ সদস্য নির্বাচনের পর বিরোধী দলীয় হুইপ পদে দায়িত্ব পালন করেন। সকলের দোয়া ও ভালোবাসায় ১৯৯১ সাল হতে বর্তমান পর্যন্ত পরপর ৭ বার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখ হতে প্রথম মেয়াদে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দ্বিতীয় মেয়াদে ২৯ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখ হতে এপ্রিল ২০২২ এর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এবং তৃতীয় মেয়াদে এবার পুনরায় তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।



error: Content is protected !!