মোঃ সাগর আলী, নীলফামারীঃ নীলফামারী সদর রামনগর ইউনিয়নে দেওয়ানি পাড়া ভাঙাপুল নামক ফাকা স্থানে ট্রাক ডাকাতি, ভাংচুর ও নগদ অর্থসহ কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল লুট করেন। ট্রাক চালক মোসলেম শেখ ও ডেলিভারি ম্যান আরিফুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। ট্রাক রেজিঃ নং- ঢাকা মেট্রো ১৯-৮০৯৫। ঐ এলাকার খয়রুল, মোসফেকুর মেম্বার ও শামীমসহ ৪/৫ অজ্ঞাতনামে নীলফামারী সদর থানায় এজাহার প্রদান করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, হুমায়ুন কবীর শাহ্ (তুহিন) জেনারেল ম্যানেজার এগ্রিকালচার ইনপুট মার্কেটিং বালাই নাশক কোম্পানি হাউজ নং-৪১২২, রোড নং-০২, ব্লক নং- এ রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া ঢাকা-১২১৯ উক্ত কোম্পানি পদে কর্মকর্তা। আমার কোম্পানি দিনাজপুর জেলা খানসামা থানাধীন উওরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলাতে সুনামের সহিত পণ্য সরবরাহ করতেছি। গত বুধবার ২৬ তারিখ পাটগ্রাম থানা এলাকা হইতে খানসামা ডিপোতে ফেরার পথিমধ্যে রাত্রি ১১:৪০ ঘটিকায় নীলফামারী থানা চান্দের হাট দেওয়ানি পাড়া ভাঙ্গাপুল নামক ফাঁকা স্থানে ডাকাতির উদ্দেশ্যে পূর্ব হইতে ওৎ পেতে থাকা অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন ডাকাত হাতে লাঠি, লোহা রড, শাবল, ছোরা ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র সজ্জিত হয়ে এবং রাস্তার মধ্যে গাছের গুঁড়ি ও বালু ভর্তি বস্তা ফেলিয়া বে-আইনি পথ রোধ করিয়া ট্রাক থামায়। কোন কিছু বুজিয়া উঠিবার পূর্বেই ডাকাত দলের গাড়ি চালাক মোসলেম শেখ ও ভেলিভারি ম্যান আরিফুল ইসলামকে গাড়ি হইতে টানা হেছড়া করে নামাইয়া ডাকাতেরা মারডাং শুরু করে ফলে আরিফুলের ইসলামের ডান পা ভেঙ্গে যায় ও শরীলের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয় এবং মোসলেম শেখ এর শরীলের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। মৃতপ্রায় অবস্থায় মাটিতে লুটিয়া পড়িলে ডাকাত দলের সদস্যরা আরিফুল ইসলামের কালো রংগের সাইড ব্যাগে রক্ষিত কোম্পানির বিক্রিত পণ্যের বাবদ নগদ ২লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা ডাকাত দলের সদস্যরা ব্যাগটি ছিনিয়ালয়। এক পর্যায়ে ডাকাত দলের সদস্যরা উক্ত ট্রাকটি ভাংচুর করে অনুমান ১২লক্ষ ৩৫ হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করেন। ট্রাকে রক্ষিত কোম্পানির অবিক্রিত ৪লক্ষ ৮৯হাজার টাকার মালামল লুট করেন।
এসময় ডাকাত দলের একজন সদস্য অপর জনকে শামীম ড্রাইভার বলিয়া ডাকে যে শামীম পিকআপ নিয়ে আয় পরক্ষণেই একটি হলুদ রংগের একটি পিকআপ ঘটনাস্থলে আসিলে ডাকাত দলের সদস্যরা উক্ত পিকআপে লুটকৃত মালামালসহ পিকআপ যোগে জলঢাকাগামী রাস্তা হইয়া চলিয়ে যায়। মোসলেম শেখ তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর উক্ত কোম্পানিতে কর্মরত সামিউল ইসলামকে বিষয়টি অবগত করেন। তারা ঘটনা স্থলে এসে তাদের গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। তারা এখন চিকিৎসারত অবস্থায় আছে।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউপ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানতে চাইলে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান পিপিএম বলেন, বিষয়টি খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নিব।