নবীগঞ্জের কুর্শিতে একাধিক মামলার আসামী পলাতক কে এই লিটন? অতিষ্ট এলাকাবাসী!!
স্টাফ রিপোর্টারঃ হবিগঞ্জের
নবীগঞ্জের কুর্শিতে একাধিক মামলার আসামী দীর্ঘদিন ধরে পলাতক কে এই লিটন? যার নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের কারণে অতিষ্ট হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী! সে উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের মৃত আব্দুল আলীর বড় ছেলে, সে প্রায় একযুগ পূর্বে রিক্সা চালিযে জীবিকা নির্বাহ্ করতো৷ গ্রামবাসী জানান,
হটাৎ সে তার সেই কর্মত্যাগ করে জড়িয়ে পড়ে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের সাথে,
যার মূল পেশা ও নেশা হয়ে দাঁড়ায় সমাজে অশান্তি সৃষ্টি করে দাঙ্গা হাঙ্গামা ও তার আপন দুই ভাই, লোদন,লিপটন সহ এলাকার আরো খারাপ প্রকৃতির লোক সংগ্রহ করে নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে তার বাহিনী দ্বারা, চুরি, ডাকাতি আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী নানা অপকর্ম চালিযে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে চায়,তবে বিধিবাম তার বাহিনির তারই আপন ভাই লোদন ও লিপটন এলাকায় চুরি ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রামের পঞ্চায়েতের হাতে সম্প্রতি ধরাশায়ী হলে এলাকায় বিষয়টি নিয়ে ও গ্রামে সচেতন মহলের মধ্যে নানা আলোচনা সমালোচনা এবং তোলপাড় সৃষ্টি হয়৷ গ্রামের একজন প্রবীণ মুরব্বি ও ইউপি সদস্য দিল বাহার আহমেদ বলেন, লিটন বাহিনীর প্রধান লিটন ও তার লোকজন তারা পারেনা এমন কোনো কাজ নেই! লিটন সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানারকম অপরাধ মূলক কর্মকান্ডের সাথে জড়িয়ে পড়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষকে প্রতারণা ব্ল্যাক মেইলিং করে ও হামলা নির্যাতন করে একের পর এক চালিয়ে যাচ্ছে তার এই অপকর্ম৷ বর্তমানে সে একটি অসহায় পরিবারের লোকজনের উপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় একই গ্রামের অটোরিকশা চালক সাগর মিয়া ও তার পরিবারের ৪জনকে হামলা, নির্যাতনের প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত এফ,আই,আর ভুক্ত মামলা নং ০৭, তারিখ ১৬/১০/২০১২ ইং এর প্রধান
আসামী হয়ে
সে গা ঢাকা দিয়েছে৷ তবে তার বাহিনী কর্তৃক এখনো চলমান রযেছে এলাকায় নানা অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড৷ তার পিতা কুর্শি ইউনিয়নের কুর্শি গ্রামের
মৃত আব্দুল আলী তিনি জীবদ্দশায় তার পুত্র লিপটন, লোদন ও লিটনের কুকর্ম, চুরি,ডাকাতি সহ অনৈতিক কর্মকান্ডের ফলে এসব ঘোষণা করে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক এর কার্যালয় হলফ নামায় অঙ্গীকার করে তার ছেলেদের
সঙ্গ ত্যাগ করেন৷ এছাড়াও একই গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা তুহিন চৌধুরী দায়েরকৃত মামলা নন জি আর ৫৮/২১ বর্তমানে মামলাটি বিচারাধীন, এদিকে গ্রামের একজন সমাজ সেবক ইকরাম চৌধুরী বলেন,আমার সিলেট শহরস্থ বাসায় আমি বিগত প্রায় ৩৫ বছরধরে বসবাস করে আসছি৷ এরই মধ্যে ২০১৭ সালের ৩ মার্চে ইসলামী ব্যাংক নবীগঞ্জ শাখায় একাউন্ট নাম্বার ১৩৪৪, মেসার্স ইসলাম এন্টার প্রাইজের একটি চেকপাতার বই হারিয়ে যায়, এই ঘটনায় বিমান বন্দর থানায় জিডি নং ৯৮৬, তারিখ ২৫/০৫/১৭ দায়ের করি৷
এই হারানো চেকপাতার বইটি পরবর্তীতে জানতে পারি লিটন আমার বাসায় আসা যাওয়ার সুবাদে সুকৌশলে নিয়ে এসে আমার বিরুদ্ধে, আমার অজান্তে
উল্টো চেক ডিজঅনার মামলা করে আমাকে ব্ল্যাক মেইলিং করে হয়রানি করছে৷ এভাবে তার প্রতারণা ও হয়রানির শিকার গ্রাম ও এলাকায় অনেক নিরপরাধ নিরিহ পরিবারের লোকজন৷ লিটনের বিরুদ্ধে এছাড়াও একই গ্রামের কুর্শি গ্রামের মাহমদ মিয়ার নিকট থেকে প্রতারণা করে ৫ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা চেকের মাধ্যমে হাতিযে নেবার ঘটনায হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমল আদালতে তার বিরুদ্ধে চেক ডিজঅনার মামলা করেন তিনি, মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে৷ একই ভাবে প্রতারণা সহ আরো নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডের আরো
ডজন খানেক মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে ৷ বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য৷ অনেকেই বলছেন এতোসব অপকর্ম করেও সে কিভাবে ছাড় পায? তার খুঁটির জোর কোথায়?