রূপগঞ্জে কলেজ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার শিক্ষকদের সমাবেশ ॥ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
মোঃ রাসেল মোল্লা
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ১২টি কলেজ, ৩৮টি উচ্চ বিদ্যালয় ও ৮টি মাদ্রাসার ১২ শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষিকা, কর্মচারী, পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১১ মার্চ শনিবার ‘শিক্ষার জন্য আমরা’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে শিক্ষার মান উন্নয়নের লক্ষে গাজী গ্রুপ তারাবো পৌরসভার আনন্দ পল্লীতে এ সমাবেশের আয়োজন করে। সকল শ্রেণির মানুষের অংশ গ্রহনে সমাবেশটি শিক্ষানুরাগীদের মিলন মেলায় পরিণত হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর রূপগঞ্জের শিক্ষকদের নিয়ে এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন এবার দ্বিতীয় বারের মতো হয়েছে বলে প্রবীণ শিক্ষকরা জানিয়েছেন।
দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় ছিল স্মৃতিচারণ, কবিতা আবৃতি, কৌতুক পরিবেশনা, র্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শিক্ষা উপরকরণ বিতরণ। অনুষ্ঠানে পাঠদানের কৌশল, শিক্ষা গ্রহণে শিক্ষার্থীদের মনোযোগী করার কৌশল, ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলগামী করার কৌশলসহ শিক্ষার মান উন্নয়নের নানাধিক আলোচনায় স্থান পায়।
শিক্ষা উপকরণ বিতরণীয় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তারাবো পৌরসভার মেয়র ও হাজী নূর উদ্দিন আহাম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হাসিনা গাজী। সভায় বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ও ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি গাজী গোলাম মর্তুজাপাপ্পা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফয়সাল হক, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দা ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিক উদ্দিন আহম্মেদ, রূপগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও অধ্যক্ষ ড. আব্দুল আউয়াল মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র সাহা, সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান, নুরুন্নেছা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন, রূপগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও বাগবের আইডিয়াল হাইস্কুলের সদস্য এম এ মোমেন, সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন, দৈনিক সংবাদচর্চা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল্লাহ খান মুন্না প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আওয়ামীলীগ শিক্ষা বান্ধব সরকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নসহ শিক্ষকদের সার্বিক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তাতে শিক্ষার হার বাড়ছে। জাতি শিক্ষিত হচ্ছে। শিশুদের শিক্ষা প্রদানে শিক্ষক সমাজ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে।
পরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের হাতে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটে।