নবীগঞ্জে গরু চোর আতংক এলাকাবাসী৷ গত ১ মাসে একটি ওয়ার্ড থেকে ২৫টি গরু চুরি এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার গরু খোয়া গেছে৷ কৃষকরা রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছেন৷
নবীগঞ্জ ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি; নবীগঞ্জ উপজেলার উত্তর পূর্বাঞ্চলের দীঘলবাক ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ড থেকে গত ১ মাসে কৃষকের ২৫টি গরু চুরি করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা৷ এতে প্রায় ২০ লক্ষাধিক টাকার গরু খোয়া গেছে৷ এলাকায় এ নিয়ে চোর আতংকে ভূগছেন এলাকাবাসী৷ কৃষক/ কৃষাণী রাত জেগে গোয়ালঘর পাহাড়া দিচ্ছেন৷
ছবিতে দেখা যায় দীঘলবাক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের কৃষক মস্তর আলী মিয়ার স্ত্রী জনৈকা কৃষাণী তাঁর পালিত একটি গাভীর গলে ধরে হাউমাউ করে কান্নাকাটি করছেন,এই গাভীটি সহ ৬টি গরু গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়৷ তবে এই গাভীটিকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে রক্তাক্ত জখমী করে ফেলে রেখে যায়, বাকি ৫টি গরু নিয়ে চম্পট দেয় চোরের দল৷ রাতেই এই গাভীটিকে তারা খোঁজাখুঁজি করে পেয়ে যান৷ একই রাতে এই ওয়ার্ডের দরবেশ পুর গ্রামের জব্বার মিয়ার আরো ৩টি গরু চুরি হয়৷ এভাবে উক্ত ওয়ার্ডের দাউদপুর, বোয়ালজুর, সহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে সম্প্রতি প্রায় ২৫/৩০ টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা৷ এতে এলাকার কৃষক /কৃষাণী সহ সর্ব মহলে চোর আতংক বিরাজ করছে৷ এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি শাহ্ সুলতান আহমদ জানান-তার ওয়ার্ডে ঘনঘন গরু চুরি হওয়ায় উদ্বিগ্ন জনগন। তবে থানা প্রশাসন ও এলাকার সচেতন মহলের আন্তরিক সহযোগিতায় চোরদের মুল হোতাদের চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।
এলাকাবাসীর ধারণা স্থানীয় চিহ্নিত অপরাধীদের যোগ সাজসে এসব চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে৷ এই চোর চক্রকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন সচেতন মহল৷ এদিকে চুরি হওয়া গরুর মালিক কৃষক আব্দুল জব্বার জানান, তার গরু রাতের বেলায় তার গরু গুলোকে নজরধারীতে রেখে ছিলেন,কিন্তু সেহরী খাবার সুযোগে তার গরু গুলো চোরেরা নিয়ে গেল৷ এই গরু চোরির ঘটনায় অনেক কৃষক পরিবারের মাথায় হাত পড়েছে৷