কে এম শাহীন রেজা কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি।।
সন্ত্রাসীর গডফাদার মাদক ব্যবসায়ী, চরমপন্থী সন্ত্রাসী, মামুন গংগের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় সাংবাদিক সম্মেলন করলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলা স্বস্তিপুর গ্রামের দবির সরদারের ছেলে বাপ্পি সরদার। গতকাল দুপুরে বাপ্পি সরদার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসি’র মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামুন একজন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সে আলামপুর ক্যাম্প ইনচার্জ মঞ্জুরুল ইসলামের মাধ্যমে আমাকে মামলা মোকদ্দমা দিয়ে যে পরিমাণ হয়রানি করেছে তার সীমা নেই। সে আমাকে শুধু হয়রানি করে নাই অত্র এলাকার অধিকাংশ পরিবারের সদস্যদের কে সে নানা ধরনের নির্যাতন করে যাচ্ছে একের পর এক।তিনি এটাও বলেন, ক্যাম্প ইন চার্জ মনজুরুল ইসলামের মাধ্যমে গত ১২ আগস্ট ২০২৩ তারিখে একটি গরু চুরির মামলা দেয়। আমি জেলে থাকা অবস্থায় ১৪ই আগস্ট ২০২৩ তারিখে রোমানা খাতুনকে বাদী করে আমার বিরুদ্ধে ধারা ৯(৪)(খ))/নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) জোর পূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা সহ যৌন নিপীড়ন করার অপরাধ দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। রুমানা খাতুন এর ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে আছে। উক্ত ভিডিও ফুটেছে রুমানা খাতুন সরাসরি মামুনের কথা বলছেন যে আমাকে হুমকি ভয় ভীতি দেখিয়ে ব্লেড দিয়ে গা-হাত-পা কেটে বাপ্পির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করিয়েছে। উক্ত ভিডিও প্রকাশ করার পর তার স্বামীকে বেধড়ক মারপিট করেছেন মামুন ও তার বাহিনীরা।বাপ্পিকে এ প্রসঙ্গে আরো প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কুষ্টিয়া জেটিআই কোম্পানিতে বালি ভরাটের কাজ পেলে মামুন আমাকে কাজ করতে দেয় নাই আমাকে ওখান থেকে তাড়িয়ে দেয় সে ভাদালিয়া জেটিআই এর মধ্যে চাঁদাবাজি করে। এ সম্পর্কে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বিষয়টি জানেন।তিনি সংবাদ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, আমার মামলাগুলি পুনরায় তদন্ত করে সঠিক রিপোর্ট প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানান। নইলে আমি ও আমার পরিবারসহ পুলিশ সুপারের অফিসের সম্মুখে আত্মহত্যা করব। উল্লেখ্য সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে গত ৩০ তারিখে সন্ত্রাসী মামুনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয় কুষ্টিয়ার সাংবাদিক মহল মানববন্ধন করেছে তার বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় ২২টি মামলা রয়েছে।