কুয়াকাটায় পুলিশের হাতে সাংবাদিক লাঞ্ছিতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠিত

প্রকাশিত: ৪:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৪

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি  :  কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের অর্থ সম্পাদক ও দৈনিক মানবজমিন এবং বিজয় টিভির কুয়াকাটা প্রতিনিধি হোসাইন আমিরকে মহিপুর থানা পুলিশ কর্তৃক মারধরের ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিনদিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ পাঠাবেন। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শেষে এমনটি আশ্বস্ত করেছেন।  বৃহস্পতিবার দুপুরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জুবায়ের আহমেদের নেতৃত্বে এ তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যে মাঠে নেমেছে।

তথ্য সূত্র জানায়, পুলিশ সুপারের সাথে কুয়াকাটা, মহিপুর ও পটুয়াখালী জেলায় কর্মরত সিনিয়র সাংবাদিকদের বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানায়। এসময় পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম সাংবাদিকদের অভিযোগ শুনেন এবং গঠিত তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সমন্বয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক বৈঠকে বসেন। বৈঠকে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয়, পটুয়াখালী টেলিভিশন জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাজল বরণ দাস ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্স, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম আরিফসহ নেতৃবৃন্দ, কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিরন, কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু ও সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলামসহ কুয়াকাটা, মহিপুর ও পটুয়াখালীর বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছবি এবং ভিডিও চিত্র ধারণ করার সময় মহিপুর থানা পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর আব্দুর রব, কনস্টেবল আজিজ ও আল আমিন কর্তব্যরত সাংবাদিক হোসাইন আমিরকে মারধর ও টানাহেঁচড়া করে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যায়। সেখানে দ্বিতীয় দফায় ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার কর্তৃক হেনস্তার শিকার হয়। এসময় সাংবাদিক হোসাইন আমিরকে পুলিশ ভ্যানে তুলে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিক এ ঘটনা জানাজানি হলে কুয়াকাটা মহিপুর এলাকায় কর্মরত সংবাদ কর্মীরা থানায় ছুটে যায়। সেখানে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলোচনায় হোসাইন আমিরকে অহেতুক মারধর ও হেনস্তার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে উঠে আসে। মহিপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তালুকদার নানা কৌশলে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে দু:খ প্রকাশ করে। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মহিপুর থানার ওসির অপসারণ এবং দোষীদের বিচার দাবী করে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব।  বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে।




error: Content is protected !!