নবীগঞ্জের দীঘলবাক ইউপি’তে ৭,৮.৯ সহ ৫টি ওয়ার্ডে জাইকা প্রকল্পে অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে চরম উত্তেজনা!
নবীগঞ্জ প্রতিনিধি।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের না জানিয়ে জাইকা প্রকল্পের অধীনে পকেট কমিটি কর্তৃক নদী খনন করতে চাইলে এলাকার সচেতন মহল ফুঁসে উঠেছেন। তার প্রতিকার চেয়ে কয়েকটি ওয়ার্ডের ৭টি গ্রামের লোকজন গণস্বাক্ষর দিয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও প্রকৌশনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের সূত্রে প্রকাশ-ওই উপজেলার ৪ নং দীঘলবাক ইউনিয়নের ,৬,৭ ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তীস্থান ঘেঁসে বয়ে গেছে নরখাই নদী। কালের বিবর্তে নদীর কোনো কোনো স্থান চর হয়েছে। ওই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের দু,বারের ইউপি সদস্য খালেদ হাসান দুলন তার নিজস্ব লোক নিয়ে একটি পকেট কমিটি ও পরে সমিতি গঠন করে জাইকা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেন। এতে কয়েক কোটি টাকা বরাদ্ধ মঞ্জুর হয়। সম্প্রতি ওই নদীর তীরবর্তী ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের সচেতন মহল নদী খননের সংবাদ পেয়েছেন। এরই মধ্যে জাইকা প্রকল্পের লোকজন নদীর সীমানা নির্ধারন করতে সরেজমিনে আসেন। এসময় কয়েক গ্রামের লোকজনদের বাঁধার মুখে তারা স্থান ত্যাগ করেন। পরে ওই এলাকার কয়েক গ্রামের হাজারো লোকজন কয়েক দফায় কামারগাঁও গ্রামের প্রয়াত বিশিষ্ট সালিশ বিচারক হাজী গোলজার মিয়ার বাড়ীতে প্রতিবাদ সভা করেন। সকলের সম্মতিতে নরখাই নদী রক্ষায় দেড়শতাধিক লোকের সমন্বয়ে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। পরে ওই ৩ টি ওয়ার্ডের সচেতন মহলের লোকজন গনস্বাক্ষর দিয়ে গত ২৮ মার্চ নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ষাটোর্ধ্ব বয়সের বৃদ্ধ বলেন ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য খালেদ হাসান দুলন ও তার লোকজন যদি এলাকার সচেতন মহল ও মান্যগণ্য লোকজনদের সমন্বয়ে ও সহযোগীতা নিয়ে কমিটি বা সমিতি করে নদী খননের কাজে হাত দিতেন তাহা হলে ভালো হতো। কিন্তু তারা বিপরীত কাজ অর্থাৎ স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা
করায় এলাকার জনগন ফুঁসে উঠেছেন। ওই এলাকার লোকজনদের একটাই দাবি যাদের কাছে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তারা যদি নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন তাহা হলে ওই এলাকা শান্ত থাকবে। নতুবা আইনশৃঙ্খলার অবনতির হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যে কোনো সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা করছেন এলাকাবাসী৷