নবীগঞ্জের চৈতন্যপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে একের পর এক নাশকতা ও হয়রানির চেষ্টা৷
স্টাফ রিপোর্টার: হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউনিয়নের চৈতন্য পুর গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরীর বাড়িতে একের পর এক নাশকতা ও হয়রানীর অভিযোগ পাওয়া গেছে৷ বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরীর ভাতিজা তৌফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, তাদের পরিবারকে দীর্ঘ দিন যাবত একটি কুচক্রী মহল নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে৷ নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে এ বিষয়ে বারংবার অবহিত করা হলেও থেমে থাকেনি নাশকতা ও হয়রানি৷ এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ মে রাতের আধারে তাদের বাড়িতে একদল দুর্বৃত্তরা হানা দিয়ে প্রথমে বিদ্যুৎ এর তার কেটে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ৯টি সি,সি, ক্যামেরা চুরি করে যার মূল্য প্রায় ৯০ হাজার টাকা, , এবং ঘরের সামনে পেছনে প্রত্যেকটি কলাপসিবল গেইটে ৭টি তালা ঝুলিয়ে ঘরের সবাইকে এক ঘরে জিম্মি করে রাখে, তবে ভাগ্যক্রমে বড় ধরনের কোনো নাশকতা ঘটাতে পারেনি দূর্বৃত্তরা৷ আশপাশের লোকজন এসে ভোরবেলা তালাবদ্ধ পরিবারের লোকজনকে তালা ভেঙ্গে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করেন৷
তৌশিকুল ইসলাম চৌধুরী আরো বলেন,সম্প্রতি তাদের বাড়িতে তাদের ই এক ঘনিষ্ঠ আত্মীয়কে অসহায় হিসেবে আশ্রয় দিয়ে ছিলেন, তবে তার স্বভাব চরিত্র ভালো না হওয়ায় তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেন, এর পর থেকে ওই যুবক এই পরিবারের লোকজনকে নানাভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, গত বছর তার বড় ভাই দিপলু চৌধুরীকে ফাঁসাতে বাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র রেখে র্যাবকে ভুল তথ্য দিয়ে দিপলু চৌধুরীকে আটক করানো হয়,পরে র্যাব সদস্যরা ঘটনাটি সাজানো সন্দেহ করে তথ্যদাতা তাদের ফুফাতো ভাই আতিককে আটক করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়৷ এর পর আবারো বিগত প্রায় ৪মাস পূর্ব আবারো বাড়িতে অস্ত্র রেখে আবারো ওই পরিবারের লোকজনকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়,পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অস্ত্র উদ্ধার করে খেলনার পিস্তল বলে জানাযায়৷ এর পরে আবারো তাদের বাড়িতে রক্ষিত একটি প্রাইভেট কারে অগ্নি সংযোগ করে জ্বালিয়ে পুঁড়িয়ে ছাঁই করে দেয়া হয়,যার অনুমান মূল্য প্রায় ৭লাখ টাকা হবে, এ ঘটনায় সামছুর রহমান আতিক নামে এক দূর্বৃত্তের বিরুদ্ধে মামলা দাযের করা হয় বলে জানাগেছে৷
এভাবে কয়েকদিন পর পরই দূর্বৃত্তরা এই মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানি করার ঘটনায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সদস্য সচিব
ডা: নিজামুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমরা খুবই আতংকে দিন যাপন করতেছি৷ কখন জানি দুষ্কৃতিকারী চক্র এর চেয়ে বড় ধরনের যে কোনো নাশকতা ঘটাতে পারে৷ তাই প্রশাসনের নিকট অনুরোধ দূর্বৃত্তদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন৷ আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি৷