কুষ্টিয়ায় কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে ২ লক্ষাধিক পশু প্রস্তুত

প্রকাশিত: ১১:০৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২৪

কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
কোরবানির পশুহাটে কুষ্টিয়ার গরুর বাড়তি চাহিদা রয়েছে। আর এ চাহিদার জোগান দিতে এবছর কুষ্টিয়া জেলায় ২ লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রাকৃতিক উপায়ে ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরু লালন পালন এবং মোটাতাজা করেছে জেলার খামারিরা। তাইতো লাভের আসায় খামারিরা শেষ মুহূর্তে পশুর পরিচর্যার পাশাপাশি খামারে লালন পালন করা পশুটি বিক্রয়ের জন্য ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং অনেকে ইতোমধ্যে বিক্রয়ও করেছেন। গরু পালনের ক্ষেত্রে কুষ্টিয়াবাসী ঐতিহ্য বহন করে চলেছে। আর এ ঐতিহ্যের প্রসার ঘটাতে এ বছরও জেলায় প্রায় ২০ হাজার খামার ও কৃষকের বাড়িতে ২ লক্ষাধিক গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার পশু ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কুষ্টিয়া বালিয়াপাড়া গ্রামের বড় খামারি কাশেম, মিন্টু সহ বিভিন্ন খামারি ও পশু পালনকারী বলছেন, পশু খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই বাড়তি দামে পশু বিক্রয় করতে না পারলে লোকসান গুনতে হবে, হারাতে হবে পুঁজি। আবার পশু খামারে কাজ অনেকের কর্মসংস্থান হয়েছে। দিন-রাত পরিচর্যা করে কোরবানির পশুর হাটে পশু গুলি তুলতে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ততার শেষ নেই তাদের। তবে কোনো ক্ষতিকর ও ভেজাল খাদ্য ছাড়া দেশীয় খাবার খাইয়ে গরু মোটাতাজা বা হৃষ্টপুষ্ট করা হয়েছে।
খামারিদের পরামর্শসহ সব ধরনের সহযোগিতার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ কর্মকর্তা ডা. মো. আল মামুন হোসেন মন্ডল। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ছোট বড় বা ক্ষুদ্র খামারিরা পশু পালন করে থাকেন। দিন-রাত পরিশ্রম পরম যত্নে লালন পালন করা পশুটি বিক্রয়ে লোকসান হলে পরবর্তীতে পশু পালনে আগ্রহ হারাবেন এমনটি জানিয়েছেন খামারিরা।




error: Content is protected !!