মোঃ শহিদুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি
ঝিনাইদহে ট্রাফিক পুলিশের দুই কর্মকর্তার মধ্যে প্রকাশ্যে হাতাহাতি ও মারামারি ঘটনা ঘটেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের ক্লোজড করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে তাদের। তারা হলেন- এটিএসআই আলি হোসেন ও দিলিপ কুমার মজুমদার।
সোমবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের পোস্ট অফিস মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, স্থানীয় পোস্ট অফিস মোড়ে পুলিশ বক্সের সামনে কর্তব্য পালন করছিলেন, সার্জেন্ট সাহারিয়ার, এটিএসআই আলমগীর, দিলিপ কুমার মজুমদার, কনস্টেবল লাতফাত এবং নিমাই চন্দ্র। হঠাৎ সেখানে আসেন এটিএসআই আলি হোসেন। তিনি পুলিশ বক্সে ঢুকেই দিলিপের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। উত্তপ্ত কথাবার্তার একপর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়।
দুইজনের মধ্যে তখন তুমুল উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এসময় পুলিশ বক্স থেকে বেরিয়ে আসে তারা দুইজনই। শুরু হয় আরেক দফায় হাতাহাতি। কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না তাদের।
সিসিটিভি ক্যামেরায় মারামারির এ দৃশ্য ধরা পড়ে। শেষ পর্যন্ত উপস্থিত অন্যদের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন সার্জেন্ট সাহারিয়ার। পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গোটা জেলা শহরের অপরাধ দমনে অতিসম্প্রতি শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা লাগান হয়েছে। ক্যামেরাগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পৃথকভাবে একটি আইসিটি কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে।
সূত্র মতে, ঘটনাটি যখন ঘটে তখন পুলিশ সুপার নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজেও ভিডিও দেখেন। এরপরও জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা বিষয়টি তুলে ধরেন তার কাছে। বিকাল ৩টার দিকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয় মারামারির সঙ্গে জড়িত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক গৌরাঙ্গ পাল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, টাকা ভাগ করা নিয়ে নয় ডিউটি ভাগ করা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার সুপার মো. হাসানুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, ভিডিও আমি নিজে দেখেছি। তার ভাষায় পুলিশ বিভাগের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাওকে ছাড় দেয়া হবে না। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।