প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর পোস্ট দেয়ায় কাইয়ুমকে আটক করেছে থানা পুলিশ।
হাটহাজারী চট্রগ্রাম প্রতিনিধি;
গত কালরোববার (৫ জুলাই) বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়ি থেকে তাকে আটক করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ আলম।
আটককৃত আব্দুল কাইয়ুম ফতেহপুরী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের লতিফ পাড়া এলাকার কাশেম শিকদার বাড়ির আব্দুল মালেকের পুত্র। সে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলায় একটি মসজিদে ইমামিত করতেন।
ফেসবুকে পোস্ট করার পরে থানায় উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাদের অভিযোগ দায়েরের খবর পেয়ে পোস্টদাতা আব্দুল কাইয়ুম আত্মগোপনে চলে যায়। তাকে অটকের জন্য থানা পুলিশ তার কর্মস্থলসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে ওসি মাসুদ আলম এ প্রতিবেদককে বলেন, ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মানহানিকর পোস্ট (ধুর! আবুল তাবোল উইকেট পড়তেছে, আমরা সরাসরি জননীর আশায় আছি) দেয়ার পর উপজেলা সভাপতি আরিফুর রহমান রাসেল বাদী হয়ে একটি মানহানি মামলা (নং-১১) দায়ের করে। ওই মামলার সূত্র ধরে, রোববার থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মার নেতৃত্বে থানা পুলিশের একটি দল পার্বত্য এলাকা খাগড়াছড়ি সদর থেকে তাকে আটক করে।
তিনি আরও জানান, আটককৃত আব্দুল কাইয়ুম ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর থেকে আত্মগোপনে চলে যায়। সে তার কর্মস্থল সন্দ্বীপ থেকে চলে আসে পার্বত্য এলাকার খাগড়াছড়িতে। সেখানে সে ধর্মীয় লেবাস ছেড়ে শার্ট-প্যান্ট পরে বেশ-বুশা পরিবর্তন করে ইলেট্রিশিয়ানের কাজ নেয়। বর্তমানে সে খাগড়াছড়ি এলাকায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসের মাঝামাঝিতে প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করার পাশাপাশি সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগের দুই নেতা সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী মো. নাসিম ও ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ এমপি’র মৃত্যু নিয়ে উপহাস করে আটককৃত আব্দুল কাইয়ুম তার নিজস্ব ফেসবুক আইডি থেকে দুই দিন পৃথক স্ট্যাটাস দিয়েছিল।
এ ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মোনায়েম আহমেদ সুহান, পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন জয়, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান মুন্না, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা কে আই জিহান ও কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান হায়াতসহ ৫জন ছাত্রলীগ নেতাকর্মী অভিযোগ দায়ের করেন।
এছাড়া অভিযোগ দায়ের করেছিল হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রাসেল। সর্বশেষ গত ১৯ জুন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হয়।