আজ বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।

প্রকাশিত: ১২:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ১১, ২০২০

মোঃ ইউসুফ শেখ, খুলনা প্রতিনিধিঃ

প্রতি বছর ১১ই জুলাই রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে সারা বিশ্বে ‘বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস’ পালিত হয়। জনসংখ্যাকে সম্পদ বলা হলেও অতিরিক্ত জনসংখ্যা সম্পদ নয়, বরং বোঝা। অপুষ্টি, অপর্যাপ্ত শিক্ষার সুযোগ, বেকারত্ব, চিকিৎসা সেবার অপ্রতুলতা ইত্যাদি সমস্যার মূলে রয়েছে অতিরিক্ত জনসংখ্যা। তাই মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্য নিয়ে ১৯৮৯ সাল থেকে রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে প্রতি মিনিটে বিশ্বে ২৫০টি শিশু জন্মগ্রহণ করে। রাষ্ট্রসংঘ জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেই নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। তবে জনসংখ্যা সমস্যা নিয়ে কিছুটা বিতর্কও আছে। অনেকের মতে পৃথিবীর যা সম্পদ রয়েছে তাতে সর্বোচ্চ ২০০ থেকে ৩০০ কোটি লোককে জায়গা দেওয়া সম্ভব। তাদের মতে ধীরে ধীরে জনসংখ্যা কমিয়ে আনা উচিত। কেবল এ ভাবেই প্রকৃতির ওপর যে নির্যাতন চলছে তা বন্ধ করা যাবে। খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও উন্নত বন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদাও পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করেন অনেকে। জনসংখ্যা সমস্যায় জর্জরিত চিন এক সন্তান নীতির মাধ্যমে জনসংখ্যা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। আবার কিছু দেশ ঋণাত্নক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারের কারণে উল্টো নীতিও গ্রহণ করেছে।

পৃথিবীর জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই প্রবণতা খুব বেশি পুরনো নয়। মূলত কৃষি বিপ্লবই জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে। এর পূর্ব পর্যন্ত খাদ্যাভাব পরোক্ষভাবে জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

তবে জনসংখ্যার গুরুত্ব নিয়ে পৃথিবী জুড়ে বিতর্কও রয়েছে। অনেকেই মনে করেন, পৃথিবীতে বর্তমানে প্রযুক্তি ও উৎপাদনশীলতার যে বৃদ্ধি ঘটেছে, তাতে সব মানুষের কাজ ও খাদ্যের সমস্যার সমাধানটা কোনও সমস্যা হওয়া উচিৎ নয়। যা প্রয়োজন , তা হল উৎপাদনের উপকরণের উপর সব মানুষের অধিকার। বর্তমান সমাজের অর্থনীতির নিয়মই এমন যে অনেক সময়ই অতি উৎপাদিত পণ্য রাখতে না পেরে নষ্ট হয়ে যায়, অন্যদিকে খাদ্যাভাবে মৃত্যু হয় অনেকের। তাদের মতে জনসংখ্যা কখনওই সমস্যা নয়, এটি হল সম্পদ। তবে বিরুদ্ধ মতও রয়েছে।




error: Content is protected !!