শেরপুর,জেলা,প্রতিনিধিঃ
শেরপুরের নালিতাবাড়িতে বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হলো ৩০ বছর পূর্বের স্থাপনা। ২০ জুলাই সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের টেংরাখালি মোড় থেকে ৪টি ঘরের ২৪টি দোকানঘর ভেঙ্গে দেয়। লুটপাট করা হয় ঘরের সমস্ত মালামাল। ঘর ভেঙ্গে দেয়ার সময় স্থানীয় জনতা ঘরের মালামাল গুলো নিয়ে যায়। জানা গেছে, ওই গ্রামের মাহবুবুর রহমান মিলন গংরা পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত রাজনগর মৌজায় ৪৫ শতাংশ রেকর্ডিও জমিতে ৩০ বছর পূর্বে দোকানপাট নির্মান করে ভোগদখল করে আসছেন। কিন্তু একই দাগে ২৫ শতাংশ সরকারী জমি রয়েছে। উক্ত জমিতে ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মানের জন্য প্রস্তুতি নেয় সরকার। মাহবুবুর রহমান মিলনের দাবি, সরকারী ২৫ শতাংশ জমি উন্মুুক্ত থাকলেও তাদের দখলীয় জমির দিকে দৃষ্টি দেয় ভূমি প্রশাসন। এ নিয়ে জমির মালিক পক্ষ মাহবুবুর রহমান মিলন গংরা উক্ত জমির উপর চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার দাবিতে নালিতাবাড়ি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে সম্প্রতি একটি মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলার বলে আদালত ওই ৪৫ শতাংশ জমির উপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে ভূমি প্রশাসন উক্ত নিষেধাজ্ঞা বাতিলের দাবীতে আপিল মোকদ্দমা দায়ের করেন। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে ১৫ জুলাই আদালত নিষেধাজ্ঞার আদেশটি স্থগিত করেন। মাহবুবুর রহমান মিলন জানান, সরকার পক্ষের দায়ের করা মামলায় আমাদের পক্ষের দেয়া নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হয়েছে কিনা, এব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। তবে ভূমি প্রশাসন উক্ত মামলার স্থগিত আদেশ পেয়েই তাদেরকে কোন প্রকার নোটিশ না দিয়েই উক্ত জমির উপর স্থাপনা গুলো গুড়িয়ে দেন। এতে কোটি টাকার উপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুর রহমান বলেন, ইতিপূর্বে উক্ত জমির উপর ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছিল। মামলা করে তা স্থগিত করে দেয়া হয়। ওই মামলায় আপিল করে নিষেধাজ্ঞার আদেশ স্থগিত করা হয়। তাই ভূমি অফিস নির্মান কাজ শুরু করা হলো। স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে কোন নোটিশ দেয়া হয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তাদেরকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।