গোলাম সারোয়ার পলাশ,কৃষি প্রতিনিধিঃ – শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মনডোরা ইউনিয়ন ও নুরপুর ইউনিয়ন, এবং হবিগঞ্জ সদরের কিছু ইউনিয়নে এই রোগ দেখা গেছে ৷ যখন ধান গর্ব থেকে শীষ দিবে তখন দেখা গেল নতুন রোগের পাদূর্ভাব ৷ ধানের সম্পুর্ণ শীষটি চুচা ও কাল রঙ্গের ৷ তা দেখে কৃষক প্রায় হতাস ৷ কয়েক জন কৃষকের সাথে যোগাযোগ করলে, তারা বলেন এমনিতেই ধানের ভাল দাম পাই না ৷ ধান কাটার শ্রমিক পাই না ৷ কি ভাবে যে কি করি।
এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এটা গান্ধী পোকা বা ব্লাস্ট রোগের কারণে হতে পারে ৷ গান্ধী পোকা আক্রমন করলে ম্যালাথিয়ন বা সাইপামেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে৷ যেমনঃ মিথিয়ল + কট ইত্যাদি ৷ ব্লাস্ট রোগ, গাছের আক্রান্ত অংশের ওপর ভিত্তি করে এ রোগ তিনটি নামে পরিচিত যেমন- ১. পাতা ব্লাস্ট, ২. গিট ব্লাস্ট এবং ৩. নেক/শীষ ব্লাস্ট ৷ আর এখন যে রোগটি দেখা গেছে এটাকে নেক বা শীষ ব্লাস্ট বলে ৷ এ রোগ হলে শীষের গোড়া অথবা শীষের শাখা প্রশাখার গোড়ায় কাল দাগ হয়ে পচে যায়। শীষ অথবা শীষের শাখা প্রশাখা ভেঙে পড়ে। ধান চিটা হয়। মাটিতে জৈব সারসহ সুষম মাত্রায় সব ধরনের সার ব্যবহার করতে হবে। আক্রান্ত জমির খড়কুটা পুড়িয়ে ফেলতে হবে এবং ছাই জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। সুস্থ গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করতে হবে, দাগি বা অপুষ্ট বীজ বেছে ফেলে দিয়ে সুস্থ বীজ ব্যবহার করতে হবে। রোগের আক্রমণ হলে জমিতে ইউরিয়া সারের উপরিপ্রয়োগ বন্ধ রাখতে হবে। জমিতে সব সময় পানি রাখতে হবে। রোগের শুরুতে হেক্টরপ্রতি ৪০ কেজি (বিঘাপ্রতি ৫ কেজি) পটাশ সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে। ট্রাইসাইক্লাজল (ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি) বা টেবুকোনাজল + ট্রাইফ্লক্সিস্ট্রবিন (ব্লাষ্টটিন ৭৫ ডব্লিউপি) প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১৫ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। তাহলে এই রোগটি থেকে রেহাই পাওয়া যাবে ৷ তবে এগুলো ২০% শীষ বেড় হলে এই ঔষধ গুলো ব্যবহার করা যাবে ৷ আর যে ক্ষেতে ৮০% শীষ বেড় হয়ছে , সেই ক্ষতে আর কিছু করার নেই ৷