এ জি মুন্না- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমার বাসস্ট্যান্ড হতে থানার গেট পর্যন্ত এক হাজার মিটার সড়কের কাজের ব্যপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের রড, ঢালাই শেষে পানি দিয়ে ভিজিয়ে না রাখা, কাজের বিবরণের সাইনবোর্ড না টাঙানো, সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলীর অনুপস্থিতিতে ঢালাইসহ বিভিন্ন নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছে অনেকে।
ডোমার বাজারে সড়কে পাশের মোবাইল টেলিকম ব্যবসায়ী সাজেদুল ইসলাম সাজু জানান, বাসস্ট্যান্ডের ওই দিকে কাজের মান ভালো ছিল। কিন্তু রেলঘুন্টি হতে থানা পর্যন্ত কাজের মান খুবেই খারাপ। এখানে দুই রকম রড ব্যবহার হচ্ছে।
ছাত্রলীগ নেতা শুভ ভৌমিক জানান, রাস্তার ঢালাইয়ের সময় আমি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকদের জিজ্ঞাসা করি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন প্রকৌশলী উপস্থিত আছে কি? তারা আমাকে জানায়, গতকাল সকালে ছিল। আর আসে নাই। কতৃপক্ষের কোন প্রকৌশলী উপস্থিত না থাকলে, কাজের মান নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহ থাকে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
উপজেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক আসাদুজ্জামান চয়ন জানান, ডোমারের ইতিহাসে সবচেয়ে নিন্মমানের কাজ হচ্ছে প্রধান সড়কটির। কিছু প্রভাবশালীর শেল্টারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিজের খেয়াল-খুশি মতো কাজ করছে। প্রভাবশালীরা কেউ বালু, কেউ ইট, আবার কেউ রড সরবরাহ করছে। আর তারা ঠিকারদারকে কাজের অনিয়মের সহায়তা করছে। তিনি আরো বলেন, এখানে কাজের বিবরন দেওয়া কোন সাইনবোর্ড নাই। আমরা জানতেও পারছি না, কে ঠিকাদার। আর কাজটির জন্য সরকার কত টাকা বরাদ্ধ দিয়েছে।
সেচপাম্প মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব জানান, ঢালাইয়ের পর ২১ দিন পানি দিয়ে কিউরিং করার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কৃষি ব্যাংক হতে থানার গেট পর্যন্ত কোন কিউরিং করা হচ্ছে না।
নুরুজ্জামন বাবলা নামে এক ব্যক্তি জানান, ধীরগতিতে প্রধান সড়কটির কাজ করায় ডোমারের প্রায় ছয়টি সড়কের বেহাল দশা হয়েছে।
অনেকে রাতের বেলায়ও নিন্মমানের কাজ করার অভিযোগ করেছে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী নাহিদ শিকদার জানান, এখানে সকল নিয়ম মেনে কাজ করা হচ্ছে। এ কাজে আমাদের অনেক লোকসান হবে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের দায়িপ্তপ্রাপ্ত প্রকৌশলী তন্ময় চক্রবর্তী জানান, ওই সড়কটির কাজ খুব ভালো হচ্ছে। অনেকে ভুয়া অভিযোগ করছে। জেলায় অনেক কাজ চলছে। তাই প্রকৌশলীরা সবসময় উপস্থিত থাকতে পারে না।