দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার পোল্ট্রি গ্রাম খ্যাত চেংগ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা ভাল নেই প্রায় খামার বন্ধ
আসলাম উদ্দিন,জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর ঃ
দিনাজপুরে হাকিমপুর উপজেলার ২নং বোয়ালদাড় ইউনিয়নের ঐতিহ্য বাহী পোল্ট্রি গ্রাম বলে খ্যাত চেংগ্রামের পোল্ট্রি ব্যবসীয়ারা করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে মুরগীর বাচ্ছা খাবার ওঔষধের মুল্য বৃদ্ধির কারনে ভালনেই।
গত২০০২ সাল হতে গ্রামের ব্যাকার তরুন উদ্দ্যোক্তারা কিছু খামার গড়ে তোলেন।
প্রথম প্রথম এসব খামারীরা সফলতা পায়। তাদের সফলতার সুবাদে গ্রামের অন্যান্য যুবকেরাও ধীরে ধীরে এ শিল্পে মনো নিবেশ করে গড়ে তোলে পোল্ট্রি গ্রাম। এগ্রামে বর্তমানে খামারের সংখ্যা ২০০মত। কিছু কিছু খামার মুরগীর বাচ্ছা ঔষধ ওখাবারের মুল্য বৃদ্ধির কারনে ও মুরগীর খামারে মুরগীর অসুখের কারনে মুরগী মত্যুতে চালান তুলতে গিয়ে অনেক লোকসানে পড়তে হয়েছে যার কারনে প্রায় ১০০টির মত খামার বন্ধ আছে।
বাকী খামার গুলো চালূ থাকলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমনের কারনে মুরগী বিক্রয় করতে গিয়ে প্রতি নিয়ত লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ গ্রামের বিশিষ্ট খামার ব্যবসায়ী মোঃ মাহফুজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তিনি বলেন আমার ৭টি খামারে ২০হাজার মুরগী ছিল।করোনা ভাইরাস সংক্রমের ফলে আমি মুরগী সময় মত বিক্রয় করতে না পারায় প্রায় ১০লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হই।
আমার প্রায় ৭লক্ষ টাকা এ চালান সময় মত সঠিক দামে বিক্রয় করতে পারলে লাভ হতো
এখন লাভ তো দুরের কথা এখন আমার ১০লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে আমার পোল্ট্রি ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে।
এগ্রামে এখন আমরা মোটামুটি কয়েক জন মিলে প্রায় ১০০টি খামার চালু রেখেছি এঅবস্থায় আমরাও খামার বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো আর কত লোকশান করবো।দিন দিন মুরগীর বাচ্ছার দাম ঔষধের দাম খাবারের দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু মুরগী বড় হওয়ার পর বিক্রয় করতে গিয়ে ন্যার্য মুল্য না পাওয়াতে আমাদের চরম বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে।
তাই আমি মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কশন করতে চাই।আপনী আমাদের এ ক্ষুদ্র পোল্ট্রি শিল্পের দিকে একটু সুনজর দিন।
এমন একটি সম্ভাবনাময় শিল্প যদি এভাবে থমকে দাড়ায় তাহলে তো দেশের অনেক ক্ষতি।
ব্যাকার হয়ে পড়বে এ গামের প্রায় ২০০ জন তরুন উদ্দ্যোক্তা।
দিনাজপুরের পোল্ট্রি গ্রাম খ্যাত চেংগ্রাম ঘুরে এসে
আসলাম উদ্দিন জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর