কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের উপর হামলা

প্রকাশিত: ১২:৫৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৭, ২০২০

কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

রবিবার (২৬জুলাই) সকালে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান মো.রুহুল কুদ্দুস ভূইয়ার (৩৩) উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। ওই দিন সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান বাদী হয়ে নিকলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। একই দিন হামলাকারী কামরুল ইসলাম নিকলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূইয়ারসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে নিকলী থানায় আরেকটি মামলা করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯ টায় নিজ কার্যালয়ে আসতে উপজেলার কারপাশা ইউনিয়নের বদরপুর গ্রাম থেকে রকি (২০) ও তুষার (২২) নামে দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে সরকারি গাড়িযোগে রওনা হন নিকলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া। গাড়িটি নিকলী সদরের জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারের সামনে আসা মাত্র কামরুল (৩০) নামে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের এক সাবেক সমর্থক গাড়ি থামাতে ইঙ্গিত করে। গাড়ি থামালে কামরুলকে উত্তেজিত এবং তার সাথে প্রতিপক্ষের ১৫-১৬জন যুবককে দেখতে পান চেয়ারম্যান আহসান মো. রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া। তারা চেয়ারম্যানকে গাড়ি থেকে নামতে বলে। চেয়ারম্যানের সঙ্গিয় রকি ও তুষার নেমে কারণ জিজ্ঞেস করতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় হামলাকারীরা। তাদের এলোপাতাড়ি কিলঘুষিতে দ্রুত রকি ও তুষার গাড়ির ভিতরে আশ্রয় নেয়।

এসময় কামরুলের সঙ্গীয় যুবকরা ইটপাটকেল ছুঁড়ে চেয়ারম্যানের জন্য বরাদ্দ সরকারি গাড়িটি কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত জানাজানি হয়। উপজেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। আহসান মো.রুহুল কুদ্দুস ভূইয়ার কয়েক’শ উত্তেজিত সমর্থক উপজেলা পরিষদ চত্বরে জমায়েত হতে শুরু করে। থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে হামলাকারী কামরুল ইসলামের মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আহসান মো.রুহুল কুদ্দুস ভূইয়ার পক্ষে আমি নির্বাচন করি। এ সুবাদে চেয়ারম্যান হওয়ার পর আমাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে মালী পদে চাকুরী দিবে বলে ৪ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। পরে আমি তাকে এ পর্যন্ত দুই লাখ দিই। কিছু দিন পর ওই মালীর পদে অন্য এক ব্যক্তি নিয়োগ পান । চাকুরি কথা বলে নগদ নেওয়া দুই লাখ টাকা ফেরত দিতে বললে চেয়ারম্যান টাকা ফেরত না দিয়ে বলে আবার যদি টাকা চাস তাহলে পরিষদের গাড়ি ভেঙ্গে থানায় তোর নামে মামলা দিবো।

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আহসান মো.রুহুল কুদ্দুস ভূইয়া জানান, গত উপজেলা নির্বাচনে পরাজয়ের আক্রোশ মেটাতে একটা পক্ষ দীর্ঘদিন যাবৎ তৎপর। এমনই একটি চক্র হীন উদ্দেশ্যে এই যুবকদের উত্তেজিত করেছে। যাদের সাথে আমার বিরোধের কোন কারণই নেই। কাউকে চাকুরির কথা বলে টাকা নেয়নি।

নিকলী থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) শামছুল আলম সিদ্দিকী ওই ঘটনায় থানায় দুইটি মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তদন্তের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছেনা।




error: Content is protected !!