কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে আবুল কালাম আজাদ ওরফে এ.কে আজাদ নামে এক ভূয়া চিকিৎসককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
এছাড়াও ৪ প্রতিষ্ঠানকে ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। আজ শনিবার (২৫, জুলাই) বিকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত এই জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা জানান, আজ দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের একটি টিমকে সাথে তিনি শহরের আইস কোং বেকারি, ফুলকলি, রিয়াজ ফার্মেসী ও মোস্তফা ফার্মেসীতে অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযানে পঁচা ডিম থাকার অভিযোগে বঙ্গবন্ধু সরণির আইস কোং মোড়ের আইস কোং বেকারিকে ১০ হাজার, মাইকপট্টির ফুলকলি বেকারিতে অনুমোদনহীন কোং পণ্য থাকার দায়ে ২০ হাজার, সরকারি কেবি পাইলট হাইস্কুলের সামনের রিয়াজ ফার্মেসীতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে ৫ হাজার এবং পৌরসভার সামনের মোস্তফা ফার্মেসীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে মোস্তফা ফার্মেসীতে বসে এলএমএফ (পল্লী চিকিৎসক) ট্রেনিংপ্রাপ্ত আবুল কালাম আজাদ ওরফে এ.কে আজাদ নামের এক ব্যাক্তি ফার্মেসীর দেয়ালে চর্ম, যৌন, এলার্জি, মাও শিশুসহ সকল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দাবি করে রোগী ভিজিট করার অভিযোগে আটক করা হয়।
এ সময় তিনি দায় স্কবীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করলে আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা অনাদায়ে দুইমাসের জেল প্রদান করেন। পরে তিনি জরিমানার টাকা পরিশোধ করে অব্যাহতি নেন। এই রকম অভিযান আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে।
অভিযানে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক, ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো: রুহুল আমিন, পৌর স্বাস্থ্য পরিদর্শক নাছিমা বেগম, ভৈরব ঔষধ ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি চন্দন কুমার দাস, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আক্রাম হোসেন চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর কিশোরগঞ্জের সহকারি পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক জানান, অভিযানে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলিকে সংশোধনের জন্য এক মাস করে সময় দেওয়া হয়েছে।