নিজস্ব প্রতিবেদক: নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাসেল কবির মুরাদ,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি; কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক, দৈনিক সমকাল পত্রিকার কুয়াকাটা প্রতিনিধি ও কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের সহকারী অধ্যাপক খান এ রাজ্জাক-এর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ প্রতিবাদ সভায় মিথ্যা মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়
এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার অনুরোধ জানান সাংবাদিকরা।
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি
আলহাজ্ব কুদ্দুস মাহমুদ, সাধারন সম্পাদক কাজী সাঈদ, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি অনন্ত মুখার্জী, সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আনু,
সহ-সভাপতি মো: ইসাহাক শেখ, সমকালের সাংবাদিক খান এ রাজ্জাক,সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম মিরন, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম বেলাল প্রমুখ।

প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কতিপয় স্বার্থন্বেসী মহলের ইন্ধনে লতাচাপলী ইউনিয়নের গোড়া আমখোলা রাখাইন পাড়ার
অংচান গত ১৯ জুলাই কলাপাড়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করে। সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করার জন্য
সাংবাদিক খান এ রাজ্জাকের বিরুদ্ধে এ মিথ্যা, পরিকল্পিত ও সাজানো মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত সাংবাদিকরা দায়েরকৃত এ মিথ্যা
মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান।

প্রতিবাদ সভা শেষে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে প্রতিকার চেয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এবিষয়ে সাংবাদিক খান এ রাজ্জাক বলেন, তার আপন চাচা জহিরুল ইসলাম খান এর সাথে একই এলাকার রাখাইন অংচান এর জমিজমা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিপ্লব বলেন, রাখাইনদের সাথে সাংবাদিক খান এ রাজ্জাকের চাচার জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। যা আদালতে
বিচারাধীণ। জমির অংশীদার ভাতিজা নয়। তারপরও অহেতুকভাবে সাংবাদিক রাজ্জাকের নামে একটি মিথ্যা, বানোয়াট চাঁদাবাজি মামলা করা হয়েছে। আমরা
কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সর্বোপরি উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এ মামলা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাই, অন্যথায় সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদে কঠোর পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি জানান।