রুহুল আমিন, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জে বর্ষা মৌসুম আসতে না আসতেই লাশের মিছিল দীর্ঘ হতে শুরু করেছে। জেলার চার উপজেলায় গত তিন দিনে পানিতে ডুবে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সব মৃত্যু হয়েছে ১ আগষ্ট (ঈদের দিন) থেকে ৩ আগষ্টের মধ্যে। এরমধ্যে পাঁচ জনের বয়স ১০ বছরের নিচে। একজনের ৭০, আরেক জনের ১৬ ও নববিবাহিতা ১৮ বছর বয়সী একজন মেয়ে রয়েছে। জেলার চারটি উপজেলার মধ্যে ইটনায় ৪, পাকুন্দিয়ায় ২, নিকলী ১ ও মিঠামইনে ১ জন রয়েছে।
ইটনা: ১ আগষ্ট ঈদের দিন নানার বাড়ি বেড়াতে এসে উপজেলার রায়টুটি গ্ৰামে এসএসসি পরীক্ষার্থী মিজান (১৬) নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন। এছাড়াও ২ আগষ্ট উপজেলার ধনু নদীতে যাত্রীবাহী নৌকাডুবিতে নিখোঁজ হয় তিন জন। ৩ আগষ্ট সোমবার সকালে নিখোঁজ তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন, উপজেলার মাগুরা গ্ৰামের বরজু মিয়ার মেয়ে হীরামনি (৫), মোখলেছ মিয়ার নববিবাহিতা স্ত্রী সুরাইয়া (১৮) একই গ্ৰামের মৃত আয়য়ুব আলীর ছেলে নৌকার মাঝি হাসান আলী (৭০)
নিকলী: ৩ আগষ্ট (সোমবার) উপজেলার মসলিসপুর বড়হাটি গ্ৰামের সাদ্দাম হোসেনের মেয়ে সোনিয়া (৫) বাড়ির পাশে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন।
পাকুন্দিয়া: ১ আগষ্ট শনিবার (ঈদের দিন) সকালে উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের কন্দর পন্দী গ্ৰামের হাসিবুল হোসেন কাজলের ছেলে লামিম (৫) পুকুর পাড়ে খেলা অবস্থায় পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ করেন। এছাড়াও ৩ আগষ্ট (সোমবার) দুপুরে উপজেলার চন্দিপাশায় পুকুরের পানিতে ডুবে মোঃ ফারুক মিয়ার ছেলে মারুফ (৭) মৃত্যু বরণ করেন।
মিঠামইন: মিঠামইনের গোপদিঘী তে নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে হাসান (৯) পানিতে ডুবে মৃত্যু বরণ। সে একই ইউনিয়নের তেলিহাটি গ্ৰামের নান্নু মিয়ার ছেলে।