ঢাকাই ছবির এ সময়ের নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। নিয়মিত ছবিতে অভিনয় করছেন। সম্প্রতি তিনটি নতুন ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। এগুলোর শুটিং নিয়েও ব্যস্ত আছেন। এসব ছবি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
* যুগান্তর: অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে?
** বাপ্পী: গত বছরের মধ্যভাগে কাজের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বছরের শেষ প্রান্ত থেকে এখন পর্যন্ত বেশ ভালোই যাচ্ছে সময়। নতুন তিনটি ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। এসব ছবিতে আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছি। এর মধ্যে সাফিউদ্দিন সাফি পরিচালিত ‘সিক্রেট এজেন্ট’ নামের ছবির শুটিং শুরু করেছি। সুন্দর একটি গল্প নিয়ে ছবিটি তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া নাট্য পরিচালক রুমান রুনি ও চিত্র পরিচালক ইফতেখার চৌধুরীর ছবিতেও চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। ইফতেখার চৌধুরীর ছবির নাম ‘যুদ্ধ’। অল্প সময়ের মধ্যেই ছবি দুটির শুটিং শুরু করা হবে।
* যুগান্তর: আপনার অভিনীত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’ ছবিটি সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে সম্প্রতি। এটি নিয়ে আপনার প্রত্যাশা কেমন?
** বাপ্পী: প্রথমত এ ছবির পরিচালক দেবাশীষ বিশ্বাসের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ যে, তিনি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এ ছবিতে আমাকে সাবলীল অভিনয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। ছবিটি গল্পের কারণেই দর্শকপ্রিয়তা পাবে। এছাড়া দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস এতে অভিনয় করেছেন। তার সঙ্গে অভিনয় রসায়নও সুন্দর ছিল। সব মিলিয়ে এ ছবি দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হবে।
* যুগান্তর: দীপঙ্কর দীপনের পরিচালনায় ‘ঢাকা-২০৪০’ নামের একটি ছবিতেও কাজ করছেন। এটির সর্বশেষ অগ্রগতি কী?
** বাপ্পী: ছবিটির কিছু অংশের শুটিং হয়েছে এর মধ্যে। তবে এ ছবির পরিচালকের হাতে আরও ছবি থাকায় এটির শুটিং শেষ করা হয়নি। ব্যতিক্রমী নামের এ ছবিতেও আমি কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছি। এখানে নুসরাত ইমরোজ তিশাও অভিনয় করছেন। সবাই আন্তরিকতা দিয়ে কাজ করলে এটিও দর্শকের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হবে।
* যুগান্তর: নতুন বছরে অভিনয় ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো বিশেষ পরিকল্পনা আছে?
** বাপ্পী: যখন থেকে অভিনয়ে এসেছি, তখন থেকেই প্রতিটি বছর শুরুর সময় কিছুটা পরিকল্পনা তো করেই কাজ করে যাচ্ছি। চলতি বছরও ভালো কাজের মাধ্যমে দর্শকের মনের দরজায় কড়া নাড়তে চাই। রুচিশীল গল্পের ছবিতেই শুধু কাজ করতে চাই। আর আমার শেখার পরিধিটা আরও বাড়াতে চাই।
* যুগান্তর: ঢাকাই ছবির জগতে বর্তমান অবস্থান নিয়ে কি আপনি তৃপ্ত?
** বাপ্পী: হ্যাঁ। অভিনয়ে না এলে দেশব্যাপী কিংবা বাংলা ছবির দর্শকের কাছে এত পরিচিতি কিংবা তাদের ভালোবাসাও পেতাম না। আমি মনে করি, যারা মানসম্মত কাজ দিতে পারেন না তারাই হতাশায় ভোগেন। অবস্থান নিয়ে আমার কোনো হতাশা নেই।