রুহুল আমিন, কিশোরগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনু কে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ৬ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌর সভার মেয়র ও ভাইস চেয়ারম্যানদের সাথে বিভিন্ন সময় অশালীন আচরণ এবং প্রশাসনীক কাজকর্মে জটিলতা সৃষ্টি করা, ক্ষমতার অপব্যবহার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বিভিন্ন সময় বাক বিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে প্রশাসনের সাথে পরিষদের দুরত্ব সৃষ্টি করে উন্নয়ন কাজে বিঘ্ন সৃষ্টি করা, নিজস্ব বাহিনী দিয়ো উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে নিজ অফিসে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বর্তমান সাংসদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পরিষদ সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ এনে বক্তব্য দিয়ে পরিষদ ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করাসহ তিনি ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালীন ত্রাণের গম আত্মসাতের মামলার সাজাপ্রাপ্ত দাগী আসামী, মুক্তিযোদ্ধা সেলিম হত্যা মামলা ও প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষর জালিয়াতি মামলার ১নং আসামী এবং বিভিন্ন ব্যাংক চেক জালিয়াতি মামলার আসামি বটে-ইত্যাদি অভিযোগে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের সদস্যগণ ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব আনয়ন করেন যা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুর বিরুদ্ধে “উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ [উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত] এর ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) ধারার স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং আনীত প্রস্তাবের বিষয়ে সরেজমিন তদন্তকালে প্রস্তাবটি পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদের চার পঞ্চমাংশের বেশি সদস্যের ভোট গৃহীত হয়েছে সেহেতু, সরকার উপযুক্ত বিবেচনা করে অনাস্থা প্রস্তাবটি অনুমোদন করেছেন।
এমতাবস্থায়, উপজেলা পরিষদ আইন-১৯৯৮ (উপজেলা পরিণদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত) এর ১৩ (খ) ও ১৩ (গ) ধারা অনুসারে কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রেনুকে পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হলো এবং পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ কে উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। এ আদেশ জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।