তলিয়ে যাচ্ছে সুনামগঞ্জের খরচার হাওরের পাকা ধান বৃষ্টির সঙ্গে উজান থেকে আসছে পাহাড়ি ঢল

প্রকাশিত: ১০:৪২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ৩০, ২০২০

গোলাম সারোয়ার পলাশঃ বৈশাখের দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরুতে বৃষ্টি কৃষকদের দুশ্চিতার মধ্যে ফেলে দেয়। পাকা ধান দ্রুত কাটা শুরু করলেও পিছু ছাড়েনি দুশ্চিন্তা। হঠাৎ করেই অতি বৃষ্টির সঙ্গে ভারতের মেঘালয় রাজ্য থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের খরচার হাওরের দেখা দিয়েছে পানিবদ্ধতা।

পানি বাড়তে থাকায় কৃষকরা আধাপাকা ধান রাতদিন কাটছেন। বিশেষ করে হাওরের হাওরের নিচু এলাকার জমির ধান হুমকিতে পড়েছে। গত শুক্রবার বিশ্বম্ভরপুর বাজারের দক্ষিণ দিকে ফসল রক্ষা বাঁধের পাশে কৃষকদের কোমর পানিতে নেমে জমির আধাপাকা ধান কাটতে দেখা গেছে। তারা জানান, হাওরের উঁচু এলাকা থেকে নিচের দিকে পানি প্রবাহিত হওয়ায় এবং কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাদের জমির আধাপাকা ধান পানিতে ডুবে গেছে। এজন্য তারা ধান কেটে নিচ্ছেন।
কৃষকদের কথা, এবার নতুন নয়। প্রতি বছর বৈশাখের শুরুতে কিংবা দ্বিতীয় সপ্তাহে বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারনে এমন অবস্থা হয়। একটা দিন দেরি হলে আধাপাকা ধান পানিতে তুলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থেকেই তারা ধান কাটছেন। বৃষ্টি যতটা না ক্ষতি করছে; তারচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে উজানের ঢলে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন জানান, অতি বৃষ্টির সাথে মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলে হাওরের নিচের দিকের জমির ধান তলিয়ে যাচ্ছে। এমন সমস্যা প্রতি বছর হয়। তবে পানিবদ্ধতার কারণে কোনও কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হলে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগিতা করা হবে।
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার দাস বলেন, আগাম বন্যার আশঙ্কায় কৃষক জমি থেকে আধাপাকা ধান কাটছেন। এজন্য তেমন কোনও ক্ষতি হবে না। উপজেলার এক হাজার ৮২০ হেক্টর জমির মধ্যে ইতোমধ্যে এক হাজার ৬২০ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। পানিবদ্ধতার পড়তে পারে ১০ বিঘা জমি। আবহাওয়া ভালো থাকলে সব কৃষক নিচু এলাকার ধান কাটতে পারবেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা আল আমিন জানান, হাওর থেকে নদীতে বেশি পানি। তাই রাবার ড্যাম নিচু করে দিলে নদী থেকে হাওরে পানি প্রবেশ করবে। এ কারণে হাওরের নিচু এলাকায় পানিবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।

তথ্যসূত্র: ইত্তেফাক




error: Content is protected !!